দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সম্পর্কের টানাপোড়েনের জের। দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল যুবকের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) ক্যানিং থানার দাঁড়িয়ার উত্তর হাটপুকুরিয়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্ত ও তার প্রথম স্ত্রী। দেহদুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও উত্তর হাটপুকুরিয়ার বাসিন্দা সাফিউদ্দিন সরদার বছর তিনেক আগে পাশের মোষমারি গ্রামের বাসিন্দা ওমেনা সরদারকে বিয়ে করে। এর ফলে সাফিউদ্দিনের সঙ্গে তার প্রথম স্ত্রীর বিবাদ বেঁধে যায়। কিছুদিন পর সমস্যা মিটেও যায়। এরপর দুই স্ত্রীর সঙ্গে একই সঙ্গে সংসার শুরু করে ওই যুবক। কিছুদিন পেরতে না পেরতেই ছন্দপতন। দ্বিতীয় স্ত্রী ওমেনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয় সাফিউদ্দিনের। নিত্য অশান্তি হত তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল থেকে প্রতিবেশীরা কোনও সাড়াশব্দ পাননি ওমেনার। বহুবার ডাকাডাকি করলেও তাঁর হদিশ মেলেনি। এরপরই প্রতিবেশীরা ঘরে ঢুকে দেখেন ওমেনা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আর তাঁর পাশেই নিথর অবস্থায় পড়ে তাঁর ৫ মাসের মেয়ে। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। তাঁরাই বধূ ও ওই শিশুকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: বীরভূমে ডিটোনেটর-সহ গ্রেপ্তার ১, জঙ্গিযোগের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ]
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সাফিউদ্দিন ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী-ই খুন করেছে ওমেনা ও খুদেকে। এরপর আতঙ্কে গা ঢাকা দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধারাল অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে ওমেনাকে। আর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? প্রথম স্ত্রীর চাপেই কি ওমেনাকে খুনের ছক কষেছিল সাফিউদ্দিন? রহস্যের জট খুলতে সাফিউদ্দিন ও তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।