অর্ণব আইচ: শারীরিক অসুস্থতায় প্রায় অচৈতন্য। তাতেও রক্ষা নেই। ওই অবস্থাতেই হাসপাতাল কর্মীর যৌন লালসার শিকার তরুণী। আপত্তিকরভাবে তাঁর স্তন এবং যৌনাঙ্গ স্পর্শ করা হয় বলেই অভিযোগ। কলকাতার (Kolkata) নামী বেসরকারি হাসপাতালের ঘটনায় গ্রেপ্তার অভিযুক্ত কর্মী।
অভিযোগকারিণী সল্টলেকের বাসিন্দা। বয়স বছর চব্বিশের আশেপাশে। গত ৩১ জুলাই ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হন তরুণী। বুধবার সন্ধেয় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অচৈতন্য হয়ে পড়েন তরুণী। তাই তড়িঘড়ি চিকিৎসক ওয়ার্ডে ঢুকে চিকিৎসা করেন। ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরছিল তাঁর। সেই সময় চিকিৎসক চলে যান। ওয়ার্ডে আসে এক জমিন জন নামে এক হাসপাতাল কর্মী। তরুণীর দাবি, ওই যুবক তাঁকে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে। মূলত তাঁর স্তন এবং যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে বলেই জানান তরুণী।
[আরও পড়ুন: National Crime Control Bureau’র ডিরেক্টর পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত]
স্পর্শ অনুভব করতে পারলেও, সে সময় বাধা দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। শারীরিক ক্ষমতা ফিরে পেয়েই চিৎকার করতে থাকেন তিনি। তাঁর চিৎকার শুনে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা দৌড়ে আসেন। রোগিনী তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। অভিযোগ, প্রথমে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে সেকথা অগ্রাহ্য করে ১০০ ডায়ালে ফোন করেন তরুণীর বাবা। সেই অনুযায়ী পুলিশ ওই বেসরকারি হাসপাতালে (Nursing Home) পৌঁছয়। তরুণী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। হাসপাতালের চিকিৎসক এবং অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।