অর্ণব আইচ: সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে লিভ ইন পার্টনারকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। শনিবার রাতে পূর্ব কলকাতার তিলজলায় ঘটেছে এই ঘটনাটি। হাড়হিম কাণ্ডের নেপথ্যে লুকিয়ে কি অন্য কোনও রহস্য? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম মহম্মদ জাহিদ আনসারি। তিলজলা এলাকার হাজারি গলির একটি বাড়িতে বান্ধবী ফিরদৌসি পারভিনকে নিয়ে লিভ ইন করতেন ওই যুবক। শনিবার বেশি রাতে জাহিদদের বাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার, চেঁচামেচির আওয়াজ আসে। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন জাহিদের ভাই। দেখেন, মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন জাহিদ। ভাই, ফিরদৌসি ও তাঁর এক বান্ধবী রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই উধাও হয়ে যান ফিরদৌসি। রাতেই জাহিদের পরিবারের পক্ষ থেকে তিলজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
অভিযোগ ওঠে, রাতে জাহিদ, ফিরদৌসি ও তাঁদের এক বান্ধবী মিলে বাড়িতে বসেই নেশা করছিলেন। সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে নিজেদের মধ্যে গোলমাল হয়। তারই জেরে জাহিদের বান্ধবী ফিরদৌসি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় জাহিদের উপর একটি ধারালো ছুরি নিয়ে চড়াও হন। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপানো হয়। ঘর রক্তে ভেসে যায়। ফিরদৌসি হাসপাতাল থেকে পালানোর পর তাঁর সন্ধানে তিলজলা থানার পুলিশ তল্লাশি চালায়। শেষে তিলজলা এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার হন ফিরদৌসি। পুলিশের দাবি, তরুণীই তাঁর লিভ ইন পার্টনারকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করেছেন।
তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বছর তিনেক আগে জাহিদের সঙ্গে ফিরদৌসির পরিচয় হয়। ক্রমে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর দু’জন মিলে হাজারি গলিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। দু’জনেই ছোটখাটো কাজ করতেন। আবার একসঙ্গে নেশাও করতেন দু’জন। এর আগেও ফিরদৌসি তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে একাধিকবার তিলজলা থানায় অত্যাচারের অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তা মিটে যেতে ফের একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু দু’জনই দু’জনকে সন্দেহ করতেন। তারই জেরে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। যার পরিণতি হল মৃত্যু।
