সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে নাবালিকা খুনের দায়ে গ্রেপ্তার করল রাজস্থান (Rajasthan) পুলিশ। গত ডিসেম্বরে স্ত্রী এবং চার বছরের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক ব্যক্তি। পুলিশ (Police) তদন্ত শুরু করলেও এত দিন কোনও হদিশ পায়নি। সম্প্রতি ওই মহিলা এবং তাঁর প্রেমিককে খুঁজে পাওয়া যায়। তার পরই পরতে পরতে খুলে যায় রহস্যের জাল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন আসে রাজস্থানের জয়পুর জেলার বাসিন্দা সুমিত আহিরের স্ত্রী টিনার কাছে। ওই ব্যক্তির নাম প্রহল্লাদ সহায় (৪৫) বলে জানা গিয়েছে। ফোনে তাঁর সঙ্গে নিয়মিত কথা হতে থাকে বছর পঁচিশের টিনার।
[আরও পড়ুন: ‘আমাকেও গ্রেপ্তার করুন’, দিল্লিতে সরকার বিরোধী পোস্টার বিতর্কে গর্জে উঠলেন রাহুল]
এরই মাঝে গত ৮ ডিসেম্বরে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর চোট পায় টিনা-সুমিতের বছর চারেকের মেয়ে। কিন্তু মেয়ের চিকিৎসা করাতে রাজি ছিল না টিনা। এবার প্রহল্লাদ এবং টিনা পালিয়ে গিয়ে ঘর বাঁধার পরিকল্পনাও করে। সেই মতো ৯ ডিসেম্বর মেয়েকে নিয়ে উধাও হয়ে যায় টিনা। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও কোনও খোঁজ মেলেনি তাদের।
সম্প্রতি পুলিশ একটি সূত্রে খবর পায়, জয়পুর গ্রামীণ এলাকায় উদাওয়ালা নামে এক গ্রামে রয়েছে টিনা এবং প্রহ্লাদ। তারা সেখানে শ্রমিকের কাজ করছে। পুলিশ সেখানে পৌঁছে টিনাকে জিজ্ঞেস করে তার মেয়ে কোথায়। টিনা জানায়, মেয়ে তার দাদু-দিদার বাড়িতে আছে। কিন্তু পুলিশ পরে বুঝতে পারে মিথ্যা বলছে টিনা। এর পর তাকে জেরা করতেই বেরিয়ে পড়ে সত্যি। টিনা জানিয়ছে, ৯ ডিসেম্বর সে প্রহ্লাদের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালানোর সময় মেয়েকে নিয়ে বেরয়। পরে সরিক্ষা জঙ্গলে মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে তার দেহ লুকিয়ে ফেলে দু’জনে।
[আরও পডুন: এবার পণ্য পরিবহণের জন্য লাগবে ই-পাস, জেনে নিন আবেদনের পদ্ধতি]
গোটা ঘটনা সামনে আসার পর পুলিশ টিনা এবং প্রহ্লাদকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এতদিন বিষয়টি জানা যায়নি। ১৪ মে টিনাকে জেরা করার পরই খুন-সহ গোটা ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টা চলছে।