সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: অন্যান্যদিনের মতোই শুক্রবার সকালে বাড়ির পুকুরে স্নান করতে নেমেছিলেন পাথরপ্রতিমার এক বধূ। নেমেই চক্ষু চড়কগাছ! সামনেই ৫ ফুটের এক কুমির (Crocodile)। আতঙ্কে আর্তনাদ শুরু করে ওঠেন তিনি। বনদপ্তরের কর্মীরা দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় জালবন্দি করে কুমিরটিকে।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Pargana) পাথরপ্রতিমা ব্লকের গোবর্ধনপুর কোস্টাল থানার শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এল প্লটের রাখালপুর গ্রামের বাসিন্দা অভিমন্যু দাস। তাঁর বাড়িতে একটি পুকুর রয়েছে। শুক্রবার সকালে সেই পুকুরে স্নান করছিলেন বাড়িরই এক সদস্যা। স্নান করতে করতে ওই বধূর হঠাৎই নজর যায় পুকুরের একটি হাঁসের দিকে। পরের দৃশ্য দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় তাঁর। দেখেন, বড়সড় একটি কুমির হাঁসটিকে ধরেছে। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ওই মহিলা। সম্বিৎ ফিরতেই প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। তড়িঘড়ি জল থেকে উঠে পড়েন। মহিলার চিৎকারে প্রতিবেশীরাও ছুটে যান। ভিড় জমে যায় পুকুরের চারদিকে। কুমিরটিকে ক্যামেরাবন্দি করার চেষ্টা করেন অনেকেই। খবর যায় শ্রীধরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুৎ দেববর্মন ঘটনাস্থলে যান। তিনিই খবর দেন বনদপ্তরে।
[আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল পঙ্গপাল’, ধনকড়ের সফরের মাঝেই আলিপুরদুয়ারে পোস্টার বিতর্কে নাম জড়াল তৃণমূলের]
বনকর্মীরা গিয়ে প্রথমে জাল ফেলে কুমিরটিকে বন্দি করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাকে কাবু করতে পারেননি। শেষমেষ পাম্পমেশিন দিয়ে পুকুরের জল কমিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বনকর্মীরা জাল নিয়ে পুকুরে নামেন কুমির ধরতে। অনেক চেষ্টার পর জালবন্দি করা যায় সেটিকে। এদিনই ভগবতপুর কুমিরপ্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ওই প্রাণীটিকে। বনদপ্তরের আধিকারিকদের কথায়, পুকুরটি জগদ্দল নদীর একেবারে পাশেই। ওই নদী থেকেই কুমিরটি সম্ভবত পুকুরে ঢুকেছিল। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাথরপ্রতিমার এক মৎস্যজীবীর জালে ধরা পড়েছিল একটি কুমিরছানা।