সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ। মহেশতলায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু। মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
বেহালার সরশুনা থানার অন্তর্গত কাস্টলডাঙ্গা লিঙ্ক রোডের বাসিন্দা প্রবীর দেবনাথের মেয়ে সুস্মিতা। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সম্বন্ধ করেই মহেশতলা পুরসভার ২৩ নম্বর নম্বর ওয়ার্ডের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা গৌতম দাসের বড় ছেলে সুজয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় সুস্মিতার। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। বধূর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের এক বছর কাটতে না কাটতেই দম্পতির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। যার প্রভাব পড়ে দুই পরিবারে। তাঁদের মধ্যে চলতে থাকে অশান্তি। সুস্মিতার বাপের বাড়ির অভিযোগ, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায়শই অশান্তি হত সুস্মিতা ও সুজয়ের।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীকেও ভাগ করে খেতে পারেন পাঁচ স্বামী! বিতর্কিত মন্তব্য মদনের, নিন্দা কুণালের]
সুস্মিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধেয় শেষবারের মতো মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁদের। পরে মেয়ের মৃত্যুর খবর প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁরা। যদিও মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে কেউই তাঁদের মৃত্যুর খবর জানায়নি। এদিকে মঙ্গলবার মহেশতলা থানার পুলিশ সুজয়ের বাড়ি থেকে সুস্মিতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়। মৃতার পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে সুস্মিতার স্বামী সুজয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার গ্রেপ্তার করা হয় সুজয়কে। এদিন অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। তবে সুজয়ের বাবা গৌতম দাস পারিবারিক অশান্তির বিষয়টি অস্বীকার করেন। কি কারণে সুস্মিতার এই মর্মান্তিক পরিণতি সেই ব্যাপারটিও তাঁর কাছে পুরোপুরি ধোঁয়াশা বলেই জানান তিনি। সুস্মিতার মৃত্যু আত্মহত্যা না খুন সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।