অরূপ বসাক, মালবাজার: এই না হলে ভাগ্য! নিজের স্ত্রীর কাছে লটারির (Lottery) টিকিট বিক্রি করেছিলেন বিক্রেতা। ভাবতেও পারেননি রাতারাতি ফিরবে ভাগ্য। কিন্তু হল ঠিক সেটাই। স্ত্রীর কাছে বিক্রি করা টিকিটেই মিলল ১ কোটি টাকা। আনন্দে আত্মহারা উত্তরবঙ্গের মালবাজারের (Malbazar) ওই টিকিট বিক্রেতা ও তাঁর পরিবার।
মালবাজারের নাগরাকাটা মডেল ভিলেজের বাসিন্দা উমা থাপা। তাঁর স্বামীর একটি ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি লটারির টিকিটও বিক্রি করেন তিনি। এদিকে উমা থাপা টেলারিংয়ের কাজ করেন। মাঝে মধ্যে স্বামীর দোকান থেকে লটারির টিকিটও কিনতেন। কিন্তু কোনওদিনই কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল না তাঁর। জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই মঙ্গলবার রাতে স্বামীর দোকান থেকে ৬০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনেছিলেন উমা। ভাবতেও পারেননি প্রথম পুরস্কার মিলবে। ওইদিনই রাত ৯ টা নাগাদ স্বামী উমাদেবীর কাছে লটারির টিকিটটি চান মেলানোর জন্য। তখনই চক্ষুচড়কগাছ! মহিলার স্বামী দেখেন প্রথম পুরস্কারের এক কোটি টাকা পেয়েছেন তাঁরাই।
[আরও পড়ুন:কেউ কথা রাখেনি! সাংসদ দেব প্রতিশ্রুতি দিলেও তৈরি হয়নি পাকাবাড়ি, গৃহহীন দাসপুরের পান্তিপিসি ]
কোটি টাকা লাভে আনন্দের পাশাপাশি আতঙ্কও গ্রাস করেছে থাপা দম্পতিকে। ইতিমধ্যেই টিকিট নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। পুলিশের তরফে নিরাপত্তার ব্যবস্থার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই টাকায় কী করবেন থাপা দম্পতি? উমাদেবী জানিয়েছেন, ছেলেমেয়ের পড়াশোনার জন্য জমা থাকবে কিছু টাকা। বাকি টাকায় বাবা মায়ের জন্য ঘর তৈরি করবেন তাঁরা। তাঁদের এই লক্ষ্মীলাভে আনন্দে আত্মহারা পরিবারের অন্যান্যরা।
উল্লেখ্য, সোমবারই ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কিনে কোটিপতি হয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুরের ফেরিওয়ালা। কোটি টাকায় আগে একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করবেন বলেই জানিয়েছেন তিনিও। বাকি টাকা জমিয়ে রাখবেন ছেলেমেয়ের পড়ার জন্য।