সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: ফের বিয়ে করেছেন স্বামী। জানতে পেরেই শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসেন প্রথম পক্ষের স্ত্রী। তাঁর কথায়, "আমার স্বামীর ভাত অন্য কাউকে খেতে দেব না।" ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল নদিয়ার শান্তিপুরে।
ব্যাপারটা ঠিক কী? নদিয়ার শান্তিপুর থানার মদনগোপাল ঠাকুর লেন এলাকার বাসিন্দা মধূসুদন বিশ্বাস। তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রী মন্দিরা। মন্দিরার দাবি, বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি লেগেই ছিল। স্বামী খেতে দিতেন না। প্রায়ই অশান্তি করতেন। এক পর্যায়ে ছেলেকে নিয়ে নিরুপায় হয়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন মহিলা। এর পর হঠাৎ জানতে পারেন, স্বামী মধুসূদন আবার বিয়ে করেছেন। এর পরই শ্বশুরবাড়িতে তিনি ছুটে যান। অভিযোগ, সেই সময় শ্বশুর-শাশুড়ি-স্বামী সকলেই তাকে মারধর করে। এর পরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন ধরনার।
[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা কর্মীকে সজোরে ধাক্কা! ফের বিতর্কে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান]
এর পরই প্ল্যাকার্ড হাতে স্বামীর বাড়ির সামনের রাস্তায় ধরনায় বসেন মহিলা। স্থানীয়দের দাবি, ওই দম্পতির অশান্তির মধ্যে তাঁরা ঢুকতে চান না। তবে মধূসুদনের দোষ রয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। ইতিমধ্যে প্রথম পক্ষের স্ত্রী মন্দিরাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শান্তিপুর থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে বাড়ি ছেড়ে উধাও অভিযুক্ত ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রীর অধিকার ফিরে পেতে ধরনার ঘটনা বাংলায় প্রথম নয়। অনেকেই ধরনা দিয়ে অধিকার ফিরে পেয়েছেন। অনেকে আবার ব্যর্থও হয়েছেন।