দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গায়ের রং কালো হওয়ায় দিনের পর দিন বধূর উপর অত্যাচার। সঙ্গে ছিল টাকার দাবি। না মেলায় বধূকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত শ্যালকও। দুজনই ভর্তি হাসপাতালে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের নাম মাসুরা সর্দার লস্কর ও আতিয়ার রহমান সর্দার। বছর আটেক আগে বাসন্তী থানার মসজিদবাটি গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ লস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় গোসাবার মাসুরার। দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর গায়ের রঙ কালো বলে তার উপর অত্যাচার চালাতেন অভিযুক্ত আশরাফ ও তাঁর পরিবার। প্রায়ই টাকার দাবি করত বলেও অভিযোগ। মেয়ের কথা ভেবে সেই দাবি মেটানোর চেষ্টা করতেন মাসুরার পরিবারের সদস্যরা। সপ্তাহখানেক আগেও ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। অভিযোগ, সোমবার ফের ওই বধূকে বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেন আশরাফ। টাকা আনতে না যাওয়ায় মাসুরাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে বোনকে দেখতে মসজিদবাটি গ্রামে যান আতিয়ার। তাঁকে দেখে রুদ্রমূর্তি ধারন করেন আশরাফ। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ইট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: মার্কিন আদালতে ‘দোষী’ হতে রাজি, শর্ত মেনে ব্রিটেনের জেল থেকে মুক্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ]
খবর পেয়ে বধূর বাপের বাড়ির লোকেরা মাসুরা ও তার ভাইকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। এ বিষয়ে আক্রান্ত মহিলার বাবা বলেন, "বিয়ের পর থেকেই মেয়ে কালো বলে জামাই ও ওর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মেয়ের উপর অমানুষিক অত্যাচার করত। প্রায়ই টাকার দাবি করত, টাকা দিলে অত্যাচার কমত খানিকটা। কদিন আগে কুড়ি হাজার টাকা চেয়েছিল। টাকা দিয়ে এসেছিলাম। আবারও টাকার দাবি করে মেয়েকে বেধড়ক মারধর করে। আমার ছেলে দেখতে গিয়েছিল। তাকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। জামাইয়ের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।"