সৈকত মাইতি, তমলুক: আত্মীয়-বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক ও কেক আনবেন বলে বেড়িয়েছিলেন। তারপর আর ফেরেননি। চারদিন ধরে বেপাত্তা তমলুকের (Tamluk) বধূ। তবে কী প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছাড়লেন? এমনই আশঙ্কা পুলিশের। যদিও অপহরণের তত্ত্বও উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ওই বধূ। কোলাঘাটের মিহিটিগড়ির বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। ধীরে ধীরে শুরু হয় কথা বার্তা। জড়িয়ে পড়েন প্রেমের সম্পর্কে। বছর পাঁচেক আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন যুগল। সেই থেকে সুখেই চলছিল সংসার। গত ২৩ তারিখ ওই বধূ স্বামীকে জানান যে, তিনি দাসপুরে মামারবাড়ি যাবেন। সেখানে পিকনিক সেরে কেক নিয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই মতো বাড়ি থেকে বের হন মহিলা। তাঁর স্বামী চলে যান কাজে।
[আরও পড়ুন: অনুব্রতর গড়ে শুভেন্দুর হানা! দলত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপিতে যোগ TMC নেতার]
সময় পেরিয়ে গেলেও ওই বধূ বাড়ি ফেরেননি। এদিকে মোবাইলে বারবার ফোন করা হলে, সুইচ অফ পাওয়া যায়। তা সত্ত্বেও ২৪ তারিখ স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করেন যুবক। তাতেও কাজ হয়নি। ২৫ তারিখ পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বধূ। সম্ভবত প্রেমিকের হাত ধরে ঘর ছেড়েছেন তিনি। তবে স্ত্রীর পরকীয়ার তত্ত্ব মানতে নারাজ স্বামী। তিনি বলেন, “আমি প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের ২ বছর পর থেকে ওর ফেসবুকও নেই। আমাদের মধ্যে কোনও সমস্যাও ছিল না।” তাহলে কোথায় গেলেন মহিলা? সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। কোলাঘাট থানার ওসি ইমরান মোল্লা জানিয়েছেন, “গৃহবধুর নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই রহস্যের উন্মোচন হবে।”