অর্ণব দাস, বারাসত: ফের রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানার সোদপুরের (Sodepur) উত্তরপল্লি। তবে এবার স্বামীর দেহ আগলে প্রায় সপ্তাহখানেক ঘরে বসে রইলেন স্ত্রী। সোমবার ঘটনা জানাজানি হয়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
আশি বছর বয়সি অমিয় দাস এবং তাঁর স্ত্রী (Wife) অঞ্জলি খড়দহ থানার সোদপুরের উত্তরপল্লির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় থাকেন তাঁরা। অমিয় দাস একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না। স্ত্রী অঞ্জলিকেও দেখতে পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হয় তাঁদের। এদিকে, সোমবার সকালে ওই দম্পতির বাড়ি থেকে তীব্র দুর্গন্ধ পেতে থাকেন প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হয় তাঁদের। খবর দেওয়া হয় খড়দহ থানায়। পুলিশ (Police) তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। তাঁরা দেখেন, বাড়ির ভিতরে স্বামী অমিয়র দেহ আগলে বসে রয়েছেন অঞ্জলি। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ছাত্রবিক্ষোভের জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ বিশ্বভারতীর সামনের রাস্তা, বিপাকে পথচারীরা]
পুলিশের অনুমান, অন্ততপক্ষে সপ্তাহখানেক আগে মৃত্যু হয়েছে অমিয়র। স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে অমিয়র নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই দম্পতির একমাত্র ছেলে অভিজিৎ দমদমের বাসিন্দা। বাবার মৃত্যুর ব্যাপারে কিছুই জানতেন না বলেই দাবি তাঁর। তবে অভিজিতের দাবি, তাঁর বাবা অসুস্থ ছিলেন। চার-পাঁচমাস আগে মা-বাবার সঙ্গে শেষবার তাঁর কথা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন অভিজিৎ। কেন এতদিন বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি তিনি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিবেশীদের দাবি, অঞ্জলি দাস মানসিক ভারসাম্যহীন। অমিয়বাবুর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।