সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভোটের মুখে ফের রক্ত ঝরল রাজ্যে। দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসায় যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকা। অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা।
ঘড়ির কাঁটায় মঙ্গলবার রাত দেড়টা। জানা যায়, রাতে ফোন আসে পবিত্র বিশ্বাস (২৬) নামে ওই যুবকের কাছে। অভিযোগ, শম্ভু দাস নামে এক যুবক তাঁকে ডেকে পাঠায়। কিছুক্ষণ পর পবিত্রর মামাতো ভাই সায়ন মণ্ডলের কাছে ফোন যায়। সায়নের দাবি, পবিত্র তাকে বলেন, “আমাকে বাঁচা, তাড়াতাড়ি আয়। না হলে আমাকে আর পাবি না। আমাকে মেরে দেবে।” সঙ্গে সঙ্গে সায়নরা শম্ভু দাসের বাড়িতে যায়। কিছুই দেখতে পায় না। এর পর আবার একটি ফোন যায়। পবিত্রর পরিবারের দাবি, শম্ভু দাসের বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় তাঁদের বাড়ির সামনে পবিত্র মদ্যপ অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ছুটে গিয়ে দেখেন, পবিত্রর দেহ পড়ে রয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে যুবককে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: শান্তনু গাঁজাখোর, ভোট দেবেন না! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দলেরই বিধায়কের, ভাইরাল অডিও]
এর পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পবিত্র পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, শম্ভুই ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে পবিত্রকে। এর পরই অভিযুক্ত শম্ভু দাসের বাড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়ির সামনে রাখা গাড়ি। ব্যাপক ভাঙচুর চলে বাড়িতে। ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আগুন নেভাতে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। কিন্তু কেন এই খুন? এলাকার বাসিন্দারা এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ। তবে শোনা যাচ্ছে, শম্ভু দাস সুদের কারবার করে। অনুমান, সেই ব্যবসা সংক্রান্ত কারণেই এই খুন। তবে ঠিক কারণে এই ঘটনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।