অর্ণব দাস, বারাসত: নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা বেলঘরিয়ার (Belgharia) যতীন দাস নগরে। নেশামুক্তি কেন্দ্রে ব্যপক ভাঙচুর মৃতের পরিবারের সদস্যদের।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন সরদার। উত্তর ২৪ পরগনার কেষ্টপুরের বাসিন্দা তিনি। পরিবারের সদস্যদের দাবি, অত্যন্ত পরিমাণে মাদক সেবন করতেন ওই যুবক। গত ২২ এপ্রিল অদ্ভুত আচরণ করছিলেন সুমন। সেই কারণে পরিবারের তরফে তাঁকে বেলঘরিয়ার যতীনদাস নগরের নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওইদিনই তাঁকে ভরতি করা হয়। মঙ্গলবার ভোর বেলা ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে ফোন করা হয় সুমনের বাড়িতে। জানানো হয়, সুমনের মৃত্যুর খবর।
[আরও পড়ুন: ‘এবার TMC নেতাদের সঙ্গে খেলব’, সাতসকালে মাওবাদী পোস্টার উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়]
সঙ্গে সঙ্গে নেশামুক্তি কেন্দ্রে হাজির হন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা রীতিমতো সেখানকার কর্মীদের উপর চড়াও হন। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁদের সামনেও চলে ভাঙচুর। মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রে প্রায় দেড়শ জনকে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়।
সুমনের এই পরিণতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের কথায়, “বৃহস্পতিবার ওকে এখানে রেখে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম, ১ মাসের মধ্যে এসে নিয়ে যাব। কিন্তু বলেছিল যে কদিনই থাকুক না কেন ৩ মাসের টাকা দিতে হবে। তাতেও রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু ভাবতে পারিনি এমনটা হবে।” ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের সদস্যদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।