সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকা দূরত্ব বাড়ালেও সম্পর্ক ভাঙতে রাজি হননি প্রেমিক। যার পরিণতি হল মর্মান্তিক। স্বামীর সঙ্গে ছক কষে প্রেমিককে খুনের অভিযোগ উঠল বধূর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ায়। ইতিমধ্যেই মৃতের প্রেমিকা-সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই বধূর নাম চম্পা রুইদাস। হাড়োয়ার বাসিন্দা সে। বছর ১১ আগে আসানসোলের বাসিন্দা গৌতম রুইদাসের সঙ্গে বিয়ে হয় চম্পার। পেশায় অটোচালক তিনি। ফোনের মাধ্যমে স্বরূপ প্রামাণিক নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় চম্পার। কথাবার্তা হতে হতে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তাঁদের মধ্যে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। বেশিদিন বিষয়টা গৌতমের চোখ এড়ায়নি। সে বিষয়টি জানার পরই চম্পার সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এরপরই প্রেমিকের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে চম্পা। সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্তও নেয়। কিন্তু নাছোড়বান্দা স্বরূপ। অভিযোগ, প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল মৃত ব্যক্তি।
[আরও পড়ুন: রোগীর কাটা হাত মুখে হাসপাতালে ঘুরছে কুকুর! অব্যবস্থার অভিযোগে তুমুল বিক্ষোভ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে]
এরপরই সম্পর্ক থেকে বেরনোর ছক কষতে শুরু করে চম্পা। সাহায্যের হাত বাড়ায় স্বামী গৌতম। স্বরূপ খুনের ছক কষে দিন কয়েক আগে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বসিরহাটে চলে আসে গৌতম। তাদের সাহায্য করে চম্পার পরিবারের লোকেরাও। জানা গিয়েছে, রবিবার ফোন করে প্রেমিককে হাড়োয়ায় ডেকে ছিল চম্পা। সেখানেই প্রেমিককে খুন করে ওই বধূ ও তার স্বামী। এরপর সারাদিন দেহ ঘরেই ছিল। রাতে বাড়ির পাশে আমবাগানে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সেই সময় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই উদ্ধার হয় স্বরূপ প্রামাণিকের দেহ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চম্পা, গৌতম, চম্পার বাবা খোকন সাহা ও দিদিকে। ঘটনার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।