দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: নাবালকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হুগলির মগরা। মৃতের প্রেমিকার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় হাতাহাতি। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ এলাকা।
জানা গিয়েছে, হুগলির মগরার কৃষ্ণদাস কলোনির বাসিন্দা ওই নাবালক। নাম সুজয় শীল। পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, এলাকারই এক নাবালিকার সঙ্গে বছর দুয়েকের সম্পর্ক ছিল তার। অভিযোগ, এই সম্পর্ক কোনওদিনই মেনে নেয়নি নাবালিকার পরিবার। তারা ক্রমাগত মৃত নাবালককে নানারকম হুমকি দিত। এসবের মাঝে গত ১৪ নভেম্বর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয় ওই কিশোর। এরপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলেও লাভ হয়নি। অবশেষে রাতে মগরা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: জ্যোতি বসুর উদ্বোধন করা বামভবনে ধর্মীয় অনুষ্ঠান! ‘ভোট পাওয়ার চেষ্টা’, কটাক্ষ তৃণমূলের]
পরিবারের দাবি, ওইদিন রাতেই রেল লাইন থেকে এক কিশোরের দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া পুলিশ। কিন্তু তাঁদের থেকে এ বিষয়ে কোনও তথ্যই পায়নি সুজয়ের পরিবার। মগরা থানার পুলিশ বিষয়টি জানার পর সোমবার সুজয়ের বাড়িতে খবর দেয়। পুলিশের তরফে খবর পেয়ে দেহটি শনাক্ত করে নাবালকের পরিবার। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নাবালিকার প্রেমিকার বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় সেখানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। অশান্তি থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে উত্তেজিত জনতা। কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পালটা লাঠিচার্জ করে উর্দিধীরারা।
নিহতের পরিবারের দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মৃতের প্রেমিকার পরিবার। তারাই মারধর করে খুন করেছে কিশোরকে। যদিও হুমকির জেরে আত্মহত্যার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ। পুলিশের তরফে শুরু করা হয়েছে তদন্ত। এখনও নাবালিকার পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।