বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: পরকীয়ার নির্মম পরিণতি। বন্ধুদের হাতে প্রাণ গেল নদিয়ার (Nadia) যুবকের। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মৃত যুবকের নাম হাবিব শেখ। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার পাটপুকুর নলপুকুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। স্ত্রী কহেরা বিবি ও মা মমতাজ বিবিকে নিয়ে সংসার তাঁর। আর্থিক অনটন নিত্য সঙ্গী। তাই উপার্জনের আশায় আরবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হাবিব। যাওয়ার জন্য টাকাপয়সা জোগাড়ও করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে গত রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ সম্রাট শেখ ও চাঁদের আলো বৈদ্য নামে দুই বন্ধু হাবিবকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেদিন রাতে বাড়ি ফেরেননি যুবক। পরিবারের লোকজন চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করলেও লাভ হয়নি। রাত আটটার পর থেকে হাবিবের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। তার বাড়ির লোকজন শত চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপর সোমবার হাবিবের পরিবারের সদস্যরা নাকাশীপাড়া থানায় গিয়ে গোটা বিষয় জানান। মঙ্গলবার হাবিবের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: আফগানিস্তান থেকে ফিরলেন বাদুড়িয়ার যুবক, ছেলেকে কাছে পেয়ে অঝোরে কান্না মা-বাবার]
এরপর নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ হাবিবের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু করে। যারা রবিবার হাবিবকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, বুধবার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ডেকে পাঠায়। এরপরই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশের দাবি, ওই যুবকেরা জানায় রবিবার রাতেই হাবিবকে খুন করেছে তারা। প্রমাণ লোপাটের জন্য দুর্গাপুর ফরেস্টে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে হাবিবের বন্ধু সম্রাট শেখ ও চাঁদের আলো বৈদ্য ও তুফান কর্মকারকে।
কিন্তু কেন খুন করা হল হাবিবকে? পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত সম্রাট শেখের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল হাবিবের। সম্রাট তা জেনে গিয়েছিল। এরপর বন্ধুদের কাছে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিল সে। তারপরই তিনজন মিলে হাবিবকে খুনের পরিকল্পনা করে। সেই মতোই রবিবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। আদৌ এই কারণেই খুন নাকি নেপথ্যে লুকিয়ে অন্য রহস্য তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।