অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: নিয়মিত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরত ভাই। প্রতিবাদ করায় মর্মান্তিক পরিণতি হল দাদার। ভাইয়ের হাতেই গেল প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর (Kharagpur) পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লি এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, খড়গপুর পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা জি সুমিত রাও ও তার দাদা জি নভজিৎ রাও। অভিযোগ, সুমিত নিয়মিত নেশা করে বাড়ি ফিরত। তার প্রতিবাদ করতেন নভজিৎ। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তিও হত।
[আরও পড়ুন: রাতভর নিখোঁজ ঠিকাদারের রহস্যমৃত্যু, খুনের অভিযোগে কাঠগড়ায় নিহতের ২ বন্ধু]
নেশার প্রতিবাদ করতেন বলেই দাদার উপর ক্ষোভ ছিল সুমিতের। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, রবিবার রাতে সেই ক্ষোভ থেকেই দাদাকে আক্রমণ করেন সুমিত। দ্রুতগতির বাইক নিয়ে নভজিৎ রাওকে ধাক্কা দেয় ভাই। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। মাথায় গুরুতর চোট লাগে। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় খড়গপুর হাসপাতালে।
সেখানে চিকিৎসা শুরুর পর নভজিতের অবস্থার অবনতি হয়। এরপরই তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেখানেই ভরতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু তাতেও লাভ কিছুই হয়নি। রাত ৮ টা ৪৫ নাগাদ মৃত্যু হয় নভজিতের। এরপরই তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। আটক করা হয়েছে সুমিতকে। সত্যিই কি নেশার প্রতিবাদ করার জন্যই এই খুন নাকি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য, তা জানার চেষ্টায় তদন্তকারীরা।