সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: সম্পত্তিগত বিবাদের জের। পাথর দিয়ে থেঁতলে দিদিকে খুন করল ভাই! চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের (Durgapur) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটাউনশিপ থানার অধীন স্টিল পার্ক এলাকায়। খুনের পর অভিযুক্ত নিজেই প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানিয়ে পুলিশকে ডাকতে বলে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নুপুর ঘোষ চট্টোপাধ্যায়(৪৬)। নুপুরদেবী স্বামীর সঙ্গে হাওড়ায় থাকতেন। ভোটের আগে দুর্গাপুরে স্টিল পার্কে ভাইয়ের বাড়িতে এসে থাকতে শুরু করেন। তখনই দীর্ঘদিনের সম্পত্তিগত বিবাদ নতুন করে মাথা চাড়া দেয়। স্টিল পার্কের এই বাড়ির দখল নিয়েই ভাই ও দিদির বিবাদ তুঙ্গে ওঠে। ওই বাড়িতে ভাই মলয় চট্টোপাধ্যায়, তার স্ত্রী মৌমিতা চট্টোপাধ্যায়, তাদের এক সন্তান ও মলয়বাবুর মা মঞ্জুরানীদেবী থাকেন। ভাই ও দিদির বিবাদের জেরে একই বাড়িতে থাকলেও ছেলের পরিবারকে আলাদা করে দেন মঞ্জুরানীদেবী। ছেলের বিরুদ্ধে তিনি পাড়ায় অভিযোগও করেছিলেন। সেই অশান্তিই চরমে ওঠে রবিবার।
[আরও পড়ুন: মোবাইল গেমে অত্যধিক আসক্তিই কাল! মায়ের চোখের সামনে দাদাকে খুন করে আত্মঘাতী যুবক]
এদিন দুপুরে নুপুরদেবী বাড়ির ছাদে উঠেছিলেন। ঠিক সেইসময় পিছু পিছু ভাই মলয় উপরে উঠে দিদিকে চেপে ধরে মাথায় ভারি পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় নুপুরদেবীর। দিদিকে মেরে ছাদ থেকে নেমে নিজেই প্রতিবেশীদের দিদিকে খুনের কথা জানিয়ে পুলিশ ডাকতে বলে মলয়। পাড়া পড়শিরাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। মলয়বাবুর স্ত্রী মৌমিতা চট্টোপাধ্যায় জানান, “সম্পত্তি নিয়ে ভাই আর দিদির ঝগড়া হত। দুপুরে ছাদের উপর ভারী আওয়াজ শুনে গিয়ে দেখি দিদির মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করছে। আমি সামনের বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা বলি।” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (১)পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, “প্রাথমিক জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। সম্পত্তির বিবাদ নিয়েই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।” গোটা ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার অন্তর্গত স্টিল পার্ক এলাকায়।