জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে বুঝতে পেরে তাঁকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন মা। মৃত্যু হল দু’জনেরই। শুক্রবার সকালে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁয়। সাতসকালে মা-ছেলের মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। শোকস্তব্ধ পড়শিরাও।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ঋষভ অধিকারী। বনগাঁর (Bangaon) ট-বাজার এলাকার বাসিন্দা তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ছাদে গিয়েছিলেন ঋষভ। সেখানে জামা কাপড় শুকতে দেওয়ার জন্য জিআই তার টাঙানো ছিল। সেই তারে হাত দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ঋষভ। কোনওভাবে বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন ঋষভের মা মিতাদেবী। ছুটে গিয়েছিলেন ছাদে। ছেলেকে স্পর্শ করতেই ওই মহিলাও বিদ্যুৎস্পষ্ট হন। ছাদে পড়ে ছটফট করতে থাকেন।
[আরও পড়ুন: Landslide: প্রবল বৃষ্টিতে রেললাইনে কাজ চলাকালীন ফের ধস, কালিম্পংয়ে মৃত্যু শ্রমিকের, নিখোঁজ ]
বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রাই মা-ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে৷ মৃত যুবকের বাবা তপন অধিকারী জানিয়েছেন, বাড়ির বিদ্যুতের তারের ফল্টের জন্যই স্ত্রী-ছেলের এই পরিণতি।
উল্লেখ্য, এদিনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার (Howrah) দাসনগরের শিয়ালডাঙার বাসিন্দা হেমন্ত সিংয়ের। টানা বৃষ্টিতে তাঁর বাড়ির নিচতলায় জল ঢুকে যায়। এদিকে, সেখানেই ছিল মিটার বক্স। তাই বিপদের আশঙ্কা করেছিলেন হেমন্ত। সে কারণেই ভেবেছিলেন মিটার বক্সের মেইন সুইচ বন্ধ করে দেবেন। তাতেই ঘটল বিপত্তি। মেইন সুইচ বন্ধ করে ফিরছেন না দেখে পরিজনরা দেখতে যান। দেখেন জমা জলে মুখ ডুবিয়ে পড়ে রয়েছেন হেমন্ত। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন বলেই সন্দেহ হয়। বাঁশ দিয়ে সরিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিজনদের দাবি, ওই চিকিৎসক হেমন্তর চিকিৎসা করতে চাননি। তাই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তবে চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে হেমন্তের।