কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল বাগুইআটির বারসিঙ্গার খুনের মূল অভিযুক্ত। ধৃত যুবক পেশায় গাড়িচালক। অন্যদিকে নিউটাউনের গেস্টহাউসে তরুণীকে খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই সন্দেহভাজন অমিতকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামের (Jhargram) নয়াগ্রাম এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে ছিল অমিত। মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে এবং আত্মীয়দের সূত্রে খবর পেয়ে নয়াগ্রামে মাসির বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের দাবি, মৃত চুমকি ঘোষের সঙ্গে সম্পর্কজনিত টানাপোড়েনে জেরেই এই খুন। ২২ ডিসেম্বর নিউটাউনের গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হয়েছিল চুমকিদেবীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। হোটেলের রেজিস্ট্রার ঘেঁটেই অভিযুক্ত অমিতের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ।
অন্যদিকে গত শনিবার বাগুইআটি ইস্ট মল রোডের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুইটি কৌর নামে এক বার সিঙ্গারের দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অনুমান করে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল সুইটিকে। জানা গিয়েছিল, এই ঘটনার কথা স্বীকার করে খড়দার এক ব্যক্তিকে হোয়াটস অ্যাপ করেছে সৌরভ চক্রবর্তী নামে এক যুবক। মঙ্গলবার মোবাইল লোকেশন দেখে খড়দার একটি ডেরা থেকে সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[আরও পড়ুন: নারদকাণ্ডে চার্জশিট দিতে বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি চায়নি CBI, হাই কোর্টে জানাল রাজ্য]
গত একমাসেরও কম সময়ে পরপর তিনটি দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায়। তিনটি ক্ষেত্রেই পলাতক ছিল অভিযুক্তরা। এই ঘটনাগুলিতে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মামলা শুরু করেছিল পুলিশ। গত চারদিনে তিনটি ঘটনায় জড়িত তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর কমিশনারেট। ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে সল্টলেকের বিজে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়ি থেকে একটি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয়েছিল। এই ঘটনায় ওই বাড়ির বড় ছেলে নিখোঁজ অর্জুন মাহেনশারিয়াকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করে পুলিশ। তদন্তে নেমেই অর্জুনের মা গীতা এবং ভাই বিদুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় আর এক অন্যতম অভিযুক্ত অর্জুনের বোন বৈদেহীর খোঁজ মিলছিল না। গত শুক্রবার তাকে রাঁচি থেকে ধরেছে বিধাননগর পুলিশ। নিউটাউনের ঘটনাটিতে দেহ উদ্ধার হয় গত মাসের ২২ তারিখে। ঘটনার সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যেই গ্রেপ্তার করা হল অভিযুক্ত অমিতকে। এদিকে গত শনিবার বাগুইআটিতে খুন হয়েছিলেন বারসিঙ্গার সুইটি কৌর। ঘটনার দু’দিন পরে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই ঘটনা তিনটিকে নিজেদের সাফল্য হিসেবেই দেখতে চাইছে পুলিশ। বুধবার বাগুইআটি এবং নিউটাউন খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। খুনের মোটিভ জানার জন্য তাদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।