shono
Advertisement

নেই অর্থ, চিকিৎসার অভাবে শিকলবন্দি হয়ে দিন কাটছে দুর্গাপুরের মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের

বিষয়টি জানতে পেরেই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
Posted: 05:42 PM Oct 05, 2021Updated: 05:42 PM Oct 05, 2021

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দু’বেলার খাবার জোটানোই দায়। ফলে সন্তানের চিকিৎসা চালানো অসম্ভব বাবা-মায়ের। সেই কারণেই বছরের পর বছর শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন কাঁকসার বিদবিহারের অজয়পল্লীর যুবক। বিষয়টি জানার পরই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

Advertisement

দুর্গাপুরের কাঁকসার বিদবিহারের অজয়পল্লীর বাসিন্দা শংকর সরকার। বয়স ২৫ বছর। তাঁর বাবা পেশায় ভ্যান চালক, মা পেটের দায়ে দিনমজুরি করেন। ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান শংকর ছেলেবেলা থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। বেশ কয়েকবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাও হয়েছে। কিন্তু তাতে কোনও সুফল মেলেনি। বরং উলটে শংকরের বাম চোখও নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই অভিযোগ পরিবারের। পরিবারের নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। ফলে বড় কোনও চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেনি যুবকের পরিবার।

[আরও পড়ুন: ‘বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা যেভাবে নেশা করে রবীন্দ্রনাথ জানলে আত্মহত্যা করতেন’, বেফাঁস মন্তব্য অনুব্রতর]

এদিকে ছেলে মাঝে মধ্যেই এদিক-ওদিক চলে যায়। কী উপায়? তাই সন্তানকে লোহার শিকলে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন বাবা-মা। ওভাবেই কাটছিল দিন। শংকরও মেনেই নিয়েছিল এই জীবন। শিকল বাঁধা অবস্থাতেই মাঝে মাঝে বাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। এবিষয়ে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় জানান, “বিষয়টি জানা ছিল না। অভাবী পরিবারের ছেলেটি যাতে চিকিৎসার সুযোগ পায় তার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করব।”

জানা গিয়েছে, শংকর খুব একটা বিরক্ত করে না কাউকে। নিজের মতোই থাকেন। মুখে বলতে না পারলেও সুস্থ হয়ে উঠতে চান তিনি। ফিরতে চান স্বাভাবিক জীবনে। ছেলের সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় বাবা-মাও। এবিষয়ে কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য জানান, “স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে ওই যুবকের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।”

[আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর খুন? বালির স্তূপ থেকে তরুণীর বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল উলুবেড়িয়ায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement