বাবুল হক, মালদহ: বাঁকুড়ার শুভজিতের পর মালদহের (Malda) আকাশ। বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে তাঁর উপহার এক টুকরো চাঁদ! স্বামীর থেকে এই উপহার পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বধূ।
বাকুঁড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের ইঞ্জিনিয়ার স্বামী শুভজিৎ ঘোষ মাস তিনেক আগে স্ত্রী রোমিলাকে জন্মদিনে চাঁদে জমি কিনে উপহার দেন। এবার মালদহের আকাশ চক্রবর্তী দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীকে চাঁদে এক একর জমি কিনে দিলেন। ইতিমধ্যেই শংসাপত্রও পেয়ে গিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে চুক্তিপত্র পৌঁছে যাবে বাড়িতে। এই জমি কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে ৬৮ মার্কিন ডলার, জানিয়েছেন আকাশ। আর চাঁদে এক টুকরো জমির মালিকানা হয়ে আনন্দে আপ্লুত স্ত্রী দেবযানী।
[আরও পড়ুন: রাতের খাবারের আগে পুঁচকে সারমেয়র সুগার টেস্ট, নেট দুনিয়ায় ভাইরাল মিষ্টি ভিডিও]
জানা গিয়েছে, আকাশও পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। মালদহ শহরের ৩ নম্বর গভর্নমেন্ট কলোনির বাসিন্দা। তিনি ইংলিশবাজার পুরসভার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। আগে কিছুই জানতেন না স্ত্রী। হঠাৎ করে চাঁদের জমির মালিকানার শংসাপত্র হাতে পেয়ে আকাশ থেকে পড়েন দেবযানীদেবী। আকাশের কথায়, “প্ল্যানটা অনেকদিন ধরেই মাথায় পাক খাচ্ছিল আমার, এবার স্ত্রীকে অন্যরকম কিছু উপহার দিতে হবে। ভেবেছিলাম, চাঁদেই জমি কিনব। সেই জমির খোঁজ পেতে ইন্টারনেট ঘেঁটেছি। সেখানেই নজরে পড়ে, নিউ ইয়র্কের একটি সংস্থা চাঁদে জমি বিক্রি করছে। যোগাযোগ করি সেই সংস্থার সঙ্গে। অনেক আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে এক একর জমি কিনেই ফেলি। তাতে খরচ হয় ৬৮ মার্কিন ডলার।”
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্যকথা। তাঁদের মতে, এটা স্রেফ প্রতীকী। আন্তর্জাতিক একটি চুক্তির জন্য কারও পক্ষেই চাঁদের জমির মালিকানা দাবি সম্ভব নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে হওয়া ‘আউটার স্পেস ট্রিটি, ১৯৬৭’ অনুযায়ী চাঁদের মাটি কোনও দেশের কারও পক্ষেই দাবি করা সম্ভব নয়। বর্তমানে ভারত-সহ ১১২টি দেশ এই চুক্তিতে সামিল। চুক্তি অনুযায়ী, যে কোনও দেশের তরফে চাঁদে অভিযান চালানো এবং চাঁদের বুকে পতাকা পোঁতা সম্ভব। কিন্তু জমি দাবি করা অসম্ভব। কিন্তু কিছু সংস্থা যে ভাবে এইসব কেনাবেচা করছে, তা আইনসম্মত নয়।