শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার যুবকের। সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডের কাংলই নদী থেকে উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঠিক কী হয়েছিল রবিবার রাতে? ঘটনার পিছনে কে বা কারা রয়েছেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম মমতাজ শেখ। বয়স ৩৮ বছর। ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া ফরাক্কার বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের বটতলা এলাকার বাসিন্দা তিনি। মূলত ফলের বাগান কিনে ব্যবসা করতেন। অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার রাতে বাগানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মমতাজ। সঙ্গে বেশ কয়েকজন যুবক ছিল। সারারাত বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ডের কাংলই নদী থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। ছেলের মৃত্যুর খবরে স্বাভাবিকভাবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।
[আরও পড়ুন: লড়াইয়ের সুর বাজছেই, এবার করোনাযুদ্ধে শামিল ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দের নিয়েও প্যারোডি]
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল? জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে হাইভোল্টেজ তার চুরির ছক কষেছিলেন মমতাজ। পৌঁছে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)। সীমান্তবর্তী বারুঘুট এলাকার বাসিন্দারা কোনওভাবে বুঝে যায় যে, চুরির উদ্দেশে তাঁদের এলাকায় ঢুকেছে বেশ কিছু যুবক। দল বেঁধে যুবকদের ধরতে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বন্ধুরা সবাই পালিয়ে গেলেও স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যান মমতাজ। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই দেহ কাংলই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। সোমবার সকালে ঝাড়খণ্ড পুলিশের তরফে খবর দেওয়া হয় ফরাক্কায়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও দেহ গ্রামে ফেরেনি। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে। উল্লেখ্য, ঝড়ের কারণে লণ্ডভন্ড ঝাড়খণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা। উপড়ে গিয়েছে টাওয়ার। বেশ কয়েকদিন ধরেই সেখান থেকে তার চুরি হচ্ছিল বলে অভিযোগ।