শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: দিওয়ালির (Diwali) রাতে শব্দবাজি ফাটানোর সময় বিপত্তি। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হল এক যুবকের। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ফরাক্কার মহাদেবনগরে। তবে বাজি ফাটানোর সময় ঠিক কীভাবে মৃত্যু হল ওই যুবকের তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম পল্লব সরকার। বয়স ৩২ বছর। ফারাক্কা থানার মহাদেবনগর গ্রামপঞ্চায়েতের আঁকুড়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পেশায় রং মিস্ত্রি। মঙ্গলবার রাতে সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা থানার মধ্যবর্তী আঁকুড়া সংলগ্ন ফিডার ক্যানেলের ধারে বাজি ফাটাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন পল্লব। বাজিও ফাটাচ্ছিলেন। আচমকা ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেখানে যান সামশেরগঞ্জ ও ফরাক্কা থানার পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
[আরও পড়ুন: বামনেতার সঙ্গে বৈঠক ফাঁসে অস্বস্তিতে বিজেপি, ‘বঙ্গভঙ্গ সমর্থন নয়’, সাফ বার্তা অশোক ভট্টাচার্যের]
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বাজি ফাটানোর সময় কোনওভাবে মৃত্যু হয়েছে পল্লবের। তবে কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ক্যানালের ধারে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ। কীভাবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ফিডার ক্যানেলের ধারে অবৈধভাবে বাজি ফাটানো চলছিল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুলিশ মৃত্যুর সঠিক কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছে যুবকের পরিবার।
উল্লেখ্য, সোমবার অর্থাৎ কালীপুজোর রাতে বৃষ্টি একটু কমতেই ফাঁকা মাঠে বাজি ফাটাতে যায় মিনাখাঁর বাসিন্দা নবম শ্রেণির পাঠরত সায়ন পাত্র (১৬)। সেই সময় অসাবধানবশত বাজির আগুন ছিটকে এসে সায়নের গায়ে লাগে। তখনই অঘটন। সঙ্গে সঙ্গে গোটা শরীরে আগুন ধরে যায়। চিৎকার করতে থাকে বছর ষোলোর কিশোর। রীতিমত আগুনে ঝলসে যায় সে। মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই নিয়ে কালীপুজোয় বাজির বলি ২।