বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: লক্ষ্য একটাই, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানানো। স্রেফ সেই কারণে হেঁটে ডুয়ার্স থেকে কালীঘাটের উদ্দেশে রওনা দিলেন শংকর ভট্টাচার্য নামে এক যুবক। সঙ্গে এনেছেন ডুয়ার্সের মাটি। যা মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন তিনি।
কিছুদিন আগে সাইকলে চালিয়ে মালদহ (Malda) থেকে কালীঘাটে এসেছিল এক ছাত্রী। এবার ডুয়ার্সের শংকর ভট্টাচার্য। তবে তিনি সাইকেলের সাহায্যও নেননি। হেঁটেই ১৫ জুন ডুয়ার্স থেকে রওনা দিয়েছেন কালীঘাটের উদ্দেশে। তাঁর পরনের জামার বুকের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। লেখা, “বিন্নাগুড়ি অঞ্চল তৃণমূলের সৈনিক।” ২৬ দিন ধরে জাতীয় সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে গত শনিবার সন্ধেয় তিনি পৌঁছেছেন রানাঘাটে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর সফরের ঠিক আগেই শান্তা ছেত্রীর পদ ছাড়া নিয়ে জল্পনা! কী বললেন নেত্রী?]
সেখানকার একটি বেসরকারি লজে রাত্রিযাপন করে রবিবার সকালে ফের রওনা দেন কালীঘাটের উদ্দেশ্যে। রানাঘাট শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়। রানাঘাট শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জিত পাল জানিয়েছেন, “আমাদের পক্ষ থেকে তাকে ভীষণরকমভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। রানাঘাটের একটি বেসরকারি লজে তাঁকে রাতে থাকার ব্যবস্থা করে এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রবিবার রানাঘাট থেকে কালীঘাটের জন্য রওনা দিয়েছেন। প্রচণ্ড রোদ আবার কখনও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হেঁটে চলেছেন তিনি। কিন্তু কেন এরকম সিদ্ধান্ত? শংকর ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও ডুয়ার্সের প্রচুর মানুষ উপকৃত হয়েছেন। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানাতে কালীঘাটে যাচ্ছি। একটিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাই। জলপাইগুড়ি ও ডুয়ার্সের মানুষ কতটা উপকৃত সে বিষয়ে তাঁকে অবহিত করতে।” তিনি জানিয়েছেন, “ডুয়ার্স থেকে আমি মাটি নিয়ে এসেছি। সেই মাটি আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেব।তার কাছে আবেদন করব, কোনওভাবেই যেন ডুয়ার্স ভাগ না হয়ে যায়, তা যেন তিনি নিশ্চিত করেন।”