বাবুল হক, মালদহ: বিয়ের দু’মাস পেরনোর আগেই স্বামীকে মাদক খাইয়ে নৃশংস অত্যাচার, খুনের চেষ্টার অভিযোগ। আটক সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের (Malda) মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুত গ্রামের বাসিন্দা আয়াতুল শেখের সঙ্গে দু’মাস আগে বিয়ে হয় ইংরেজবাজারের নরহাটটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজমিরা খাতুনের। কিছুদিন আগে ভিনরাজ্য থেকে রাউত গ্রামে বাড়িতে ফেরেন আয়াতুল। তারপরই আচমকাই স্ত্রীর নির্যাতনের শিকার হন যুবক। আয়াতুল শেখ জানিয়েছেন, “এক সপ্তাহ হল আমি ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছি। সব সময় আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হতো। খাবারের সঙ্গে মাদকজাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হতো। বাড়িতেই ঝিম মেরে বসে থাকতাম। সদ্য বিবাহিত স্ত্রী আজমিরা খাতুনকে অনেক জিজ্ঞাসা করেছিলাম। ও কোনও উত্তর দেয়নি।” এরপরই সোমবার রাতে স্বামীর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায় আজমিরা।
[আরও পড়ুন: স্ত্রীর হাত কেটে নেওয়া ‘অসুস্থ মানসিকতা’, কেতুগ্রাম যাচ্ছে মহিলা কমিশন, জানালেন লীনা]
অন্তর্বাস দিয়ে প্রথমে স্বামীর মুখ বাঁধে মহিলা। তারপর হাত, পা, বেঁধে কাউকে ফোন করে স্বামীকে খুনের কথা বলে সে। গোটা ঘটনার ভিডিও করা হয় বলেই খবর। যুবকের গোঙানির শব্দ শুনে পাশের ঘর থেকে বৃদ্ধ বাবা-মা ছুটে যায়। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়া-প্রতিবেশীরা গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে। এরপরই মহিলাকে মারধরের চেষ্টা করে উত্তেজিত জনতা। তবে পুলিশের তৎপরতায় আয়ত্তে আসে পরিস্থিত।
পুরাতন মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে ওই মহিলা মানসিক বিকারগ্রস্ত। অথবা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই ঘটনা। অন্যথায় এমন ঘটনা ঘটার কথা নয়। নির্যাতিতের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ওই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।