সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে। আগ্রহও দেখিয়েছে দুই দল। তবু, হরিয়ানায় আপ ও কংগ্রেসের জোটে জট কাটছে না। শেষ মুহূর্তে দুটি আসন নিয়ে বিবাদ দুই শিবিরের। ফলে আদৌ জোট হবে নাকি 'গোল্ডেন হ্যান্ডশেক' তাই নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি, হরিয়ানা-সহ পাঁচ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জোট বেঁধেছিল কংগ্রেস এবং আপ। হরিয়ানায় ১০ আসনের মধ্যে আপকে একটি আসন ছাড়ে কংগ্রেস। হাত শিবির যে ৯ আসনে লড়েছিল, তার মধ্যে পাঁচটিতে জেতে তাঁরা। আপ একমাত্র আসনটি বিজেপির কাছে হেরে যায়। পরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা দাবি করেন, কুরুক্ষেত্র আসনটিতে কংগ্রেসের প্রার্থী থাকলে বিজেপিকে হারানো যেত।
[আরও পড়ুন: ‘আজীবন মোহনবাগানেই খেলতে চাই’, সবুজ-মেরুনের সঙ্গে দীর্ঘ চুক্তির পর আবেগী বার্তা বিশালের]
বস্তুত স্থানীয় কংগ্রেস নেতারা আপের সঙ্গে জোটের পক্ষে ছিলেন না। মূলত রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গের ইচ্ছাতেই এই জোটবার্তা এগিয়েছে। শুরুতে আসন সংখ্যা নিয়ে জটিলতা ছিল। সেটা অনেকটা কেটেছে। কিন্তু কংগ্রেস আপের জন্য যে আসনগুলি ছাড়তে চাইছে, সেগুলিতে আপত্তি রয়েছে আপের। তাঁরা কালায়াত এবং কুরুক্ষেত্র এলাকায় অন্তত একটি আসন না পেলে কোনওভাবেই জোটে যেতে রাজি নয়। আপের সাফ কথা, ওই দুটি আসন না ছাড়লে, অন্তত ৫০ আসনে লড়বে তারা। তাতে আখেরে ক্ষতি দুই শিবিরেরই।
[আরও পড়ুন: এশীয় অলিম্পিক কাউন্সিলে প্রথম ভারতীয় সভাপতি, নয়া নজির রণধীর সিংয়ের]
তবে কংগ্রেসও আপস করতে নারাজ। বিধানসভায় ভুপিন্দর সিং হুডা, কুমারী শৈলজার মতো হরিয়ানার কংগ্রেস নেতারা আপের সঙ্গে জোটের ঘোর বিরোধী। হরিয়ানার কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, কংগ্রেস সে রাজ্যে একাই বিজেপিকে হারানোর ক্ষমতা রাখে। সেখানে আপকে আসন ছাড়া অযৌক্তিক।