সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানায় ব্যর্থ হলেও, জম্মু ও কাশ্মীরে বড় চমক আম আদমি পার্টির। উপত্যকায় প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমে সাফল্যের খাতা খুলে ফেলল কেজরির দল। বিজেপি প্রার্থী গজয় সিং রানাকে হারিয়ে ডোডা কেন্দ্রে জয়ী হলেন আপ প্রার্থী মেহরাজ মালিক। বিজেপি প্রার্থীর তুলনায় ৪৫৩৮ ভোট বেশি পেয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে চলছে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। শেষ পাওয়া খবরে, বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলে উপত্যকায় ক্ষমতায় আসছে এনসি ও কংগ্রেসের জোট সরকার। এরই মাঝে সকলকে চমকে দিয়ে ডোডা কেন্দ্রে জয়ী হলেন আপ প্রার্থী মেহরাজ মালিক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২৩ হাজার ২২৮। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির গজয় সিং রানা পেয়েছেন ১৮হাজার ৬৯০টি ভোট। ভূস্বর্গ থেকে প্রথম জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসায় খুশি আম আদমি পার্টি। দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেতা গোপাল রায় বলেন, 'দলের জন্য এ অত্যন্ত আনন্দের খবর। দিল্লির পর পাঞ্জাব, গোয়া ও গুজরাটে জিতে আমাদের দল জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষ আপকে সমর্থন করছেন। নিঃসন্দেহে এ আমাদের দলের কাছে ঐতিহাসিক ঘটনা।' উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে এই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী শক্তিরাজ।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের ফলাফলের ট্রেন্ড বলছে, সেখানে ৪৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এনসি (৪২) ও কংগ্রেসের (৬) জোট। ২০১৪ সালের তুলনায় এবার আসন সঙ্খ্যাবাড়তে চলেছে বিজেপির। ২৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা। এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গতবারের শাসকদল পিডিপির। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পিডিপি যেখানে ২৮টি আসন পেয়ে সরকার গঠন করেছিল, এবার মাত্র ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা।
তবে জম্মু ও কাশ্মীরে আশাতীত সাফল্য পেলেও হরিয়ানায় অত্যন্ত বেহাল অবস্থা আম আদমি পার্টির। জাঠভূমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেননি কেজরিওয়াল। নিজে তো বটেই কেজরির অবর্তমানে এই রাজ্যে জোরদার প্রচার চালান তাঁর স্ত্রী সুনীতাও। কিন্তু নির্বাচনী ট্রেন্ড বলছে, ৯০ আসনের হরিয়ানায় ৫০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস এগিয়ে ৩৫টিতে, অন্যান্যরা ৫টিতে। একটিও আসনেও এগিয়ে নেই আম আদমি পার্টি।