সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) কালে দেশের কোটি কোটি মানুষ ডাউনলোড করেছে আরোগ্য সেতু (Aarogya Setu) অ্যাপ। কারা তৈরি করেছে এই অ্যাপ? সেই নিয়ে সরকারের তরফে কোনও সদুত্তর না মেলায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এবিষয়ে কেন্দ্রকে নোটিসও পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন তথা সিআইসি (CIC)। অবশেষে সরকারের তরফে মিলল উত্তর।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপটি তৈরি করার বিষয়ে কোনওরকম অস্বচ্ছতা নেই। বেসরকারি ও সরকারি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই অ্যাপ। টুইট করে সরকার জানিয়েছে, মাত্র ২১ দিনে তৈরি করা হয়েছিল অ্যাপটি। শিল্প, শিক্ষার দুনিয়া এবং সরকারি ক্ষেত্রে দেশের সেরা মস্তিষ্কগুলি একজোট হয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে অ্যাপটি তৈরি করেছিল এত অল্প সময়ের মধ্যে। টুইটে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপ এবং দেশের করোনা পরিস্থিতিতে এর ভূমিকা সম্পর্কে কোনও সন্দেহই থাকা উচিত নয়।
[আরও পড়ুন: দিওয়ালির আগে ফের আকর্ষণীয় ছাড় মিলবে ফ্লিপকার্ট-অ্যামাজনে, সস্তায় পাবেন আইফোনও]
এদিকে প্রশ্ন উঠেছিল অ্যাপটির নির্মাতা কারা, তা নিয়ে। আসলে অ্যাপের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় তথ্যবিজ্ঞান কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক এই অ্যাপ তৈরি করেছে। কিন্তু প্রশ্ন করা হলে তারা কেউই বলতে পারেনি অ্যাপটির নির্মাতা কে। সৌরভ দাস নামের এক সমাজকর্মী তথ্য কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রকই অ্যাপটির নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারেনি। তথ্য জানার অধিকার বা আরটিআই প্রয়োগ করে তিনি এ বিষয়ে জানতে চাইলেও মেলেনি তথ্য। উত্তর দিতে পারেনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকও। তারা ন্যাশনাল ই-গর্ভন্যান্স বিভাগের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাও শেষ পর্যন্ত জানিয়ে দেয়, এই প্রশ্নের উত্তর তাদের কাছেও নেই।
প্রায় দু’মাস ধরে এভাবেই নানা দপ্তরে ঘুরলেও শেষপর্যন্ত প্রশ্নটির উত্তর মেলেনি। কমিশন তাদের নোটিসে জানিয়েছে, এভাবে তথ্য না জানানোর বিষয়টি মেনে নেওয়া হবে না। অ্যাপটি কাদের তৈরি কিংবা ফাইলগুলি কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে কোনও কেন্দ্রীয় তথ্য আধিকারিকই কিছু জানাতে পারেননি। গোটা বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলে জানিয়েছিল কমিশন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ২৪ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনের কাছে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
গত এপ্রিলে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘আরোগ্য সেতু’ অ্যাপটি। বারোটি ভাষায় এটি ব্যবহার করা যায়। ট্রেন কিংবা বিমানে সফরকালীন এই অ্যাপটি মোবাইলে ডাউনলোড করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল, যাতে কাছাকাছি থাকা করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।