সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত কাণ্ড ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour)! লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই যেন এই কথাটা সত্যি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই দিতে প্রার্থী হতে চেয়েছেন ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তাঁকে সমর্থন দেওয়ার জন্য কার্যত তৈরি বিরোধীরা। এমন পরিস্থিতিতে একই আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা শোনা গেল নওশাদের দাদা তথা ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকর গলায়। যা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এসমস্ত জল্পনায় পাত্তা দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে আব্বাসকে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলতে শোনা গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “ডায়মন্ড হারবারে যদি আমরা প্রার্থী দিই তাহলে তাঁকে আপনারা জেতাবেন তো? আমায় দেখে ভোট দেবেন আপনারা। জেতালে আমি প্রতি মাসে এখানে এসে আপনাদের সমস্যা শুনব। একমাসের মধ্যে সমাধান করে দেব।” তাঁর এই প্রতিশ্রুতি অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ নওশাদ রাজনৈতিক দলের তরফে প্রার্থী হওয়াক ঘোষণা করলেও তাঁর দাদা আব্বাস কিন্তু ধর্মের কার্ড খেলতে চাইছেন। ধর্মীয় নেতা হিসেব প্রার্থী দিতে চাইছেন তিনি। যা ডায়মন্ড হারবারের জনবিন্যাস ও ভোটের অঙ্কের নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: ওজনযন্ত্রের কারসাজিতে হাপিস রেশন! ফাঁকিবাজি রুখবে ‘ওয়েয়িং স্কেল’]
ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অন্তর্গত ৭ বিধানসভা- ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, বজবজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া এবং মেটিয়াব্রুজ। এর মধ্যে প্রথম ছটি বিধানসভায় বাংলাভাষী মুসলিমের আধিক্য। সূত্রের খবর, তাঁদের উপর ফুরফুর শরিফের প্রভাবও মারাত্মক। ফলে ফুরফুরার পীরজাদা যদি সত্যি সেখানে প্রার্থী দেন, তাহলে ভোটের অঙ্কে বদল আসতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাদের কথায়, নওশাদ বিরোধীদের সমর্থন নিয়েও ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় ভোটের মানচিত্রে যতটা না বদল আনতে পারবেন, তার চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারবেন ধর্মীয় নেতা আব্বাস সিদ্দিকির প্রার্থী।
যদিও এসব খাতায় কলমের এই সমস্ত অঙ্ককে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলছেন, “ক্ষমতা থাকলে আব্বাস নিজে ভোটে লড়ুক, ৪ লক্ষ ভোটে হারাব। এটা নওশাদ বনাম আব্বাস সিদ্দিকি হচ্ছে। কে বড় সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে।”