বিশেষ সংবাদদাতা: লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শোনা যাচ্ছে, আগামী ৬ মার্চ বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভামঞ্চ থেকেই বিজেপিতে যোগ দেবেন তিনি। নির্বাচনে তমলুক থেকেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন বলেই জোর জল্পনা।
বিচারবিভাগীয় মহল তো বটেই, সামগ্রিকভাবে রাজ্যের নানা মহলেই অত্যন্ত আলোচিত ব্যক্তি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। সম্প্রতি তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তুুমুল সমালোচনা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন দুর্নীতি মামলায় এজলাসে বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করে নানা কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়াকে। সেসব নিয়ে তৃণমূলের কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কার্যত তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, ”অবসরের বেশিদিন বাকি নেই। তার আগেই আপনি স্বেচ্ছাবসর নিয়ে আসুন না রাজনৈতিক ময়দানে। তার পর দেখা যাবে।” এবার লোকসভা ভোটের আগে সরাসরি রাজনীতির ময়দানে আসছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, বিজেপির হাত ধরে ময়দানে পা রাখবেন। গেরুয়া শিবিরের টিকিটেই লড়াই করবেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: অবতরণের সময় ককপিটে চোখ ধাঁধানো লেজার লাইট! দমদম বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা]
উল্লেখ্য, তমলুকের বর্তমানের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের টিকিট জিতলেও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে অধিকারী পরিবার বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রেখে চলছে। বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় নাম রয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীর। লড়ছেন কাঁথি আসন থেকে। যেখানকার বর্তমান সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী। জল্পনা সত্যি হলে তমলুক থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে লড়বেন। সেক্ষেত্রে দিব্যেন্দু কোথা থেকে টিকিট পায়, সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি। রবিবার এই সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি পদত্যাগপত্র (Resign)জমা দেবেন রাষ্ট্রপতির কাছে। রাজনীতিতে যোগদানের কথাও স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন।