কলহার মুখোপাধ্যায়: কৃষ্ণা রায় যখন হাসপাতালে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন সেই সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, মুকুলজায়া তাঁর মাতৃসমা। তিনি অত্যন্ত কাছের এবং প্রিয় মানুষ। মঙ্গলবার সেই কৃ্ষ্ণাদেবীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাই শত ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এদিন বিকেলে মুকুল রায়ের বাড়িতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ৪.৪৩ মিনিটে রায় বাড়িতে প্রবেশ করেন তৃণমূল সাংসদ।
করোনা (Corona Virus) পরবর্তী শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী। মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই তাঁকে বাইপাসের ধারে নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেটা ছিল মে মাসের মাঝামাঝি সময়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা জানান, ফুসফুসের অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তা প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন। সেইমতো চিকিৎসকদের পরামর্শে কৃষ্ণাদেবীকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় চেন্নাইতে (Chennai)। সেখানেই তাঁর ফুসফুস প্রতিস্থাপন হওয়ার কথা ছিল। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাদেবীর। মায়ের অন্তিম শয্যায় সঙ্গে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু।
[আরও পড়ুন: ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল ছিল’, মুকুলপত্নীর প্রয়াণের খবরে বাড়ি গিয়ে স্মৃতিচারণ মমতার]
কৃষ্ণাদেবীর অসুস্থতাই রাজনৈতিক বিভেদ ভুলিয়ে মুকুল-শুভ্রাংশুদের তৃণমূলের কাছাকাছি এনেছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাসপাতালে তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন। শুভ্রাংশুর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন। সৌজন্যের এক নয়া নজির তৈরি হয়েছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ছোট থেকেই মুকুলজায়ার সান্নিধ্য পেয়েছিলেন তিনি। কৃষ্ণাদেবী তাঁর অত্যন্ত কাছের, মাতৃসমা। এই ঘটনা যে তৃণমূলের সঙ্গে রায় পরিবারের দূরত্ব ঘুচিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভা থেকে সোজা মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রায় ২৫ মিনিট সেখানে ছিলেন তিনি।