সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। ক্রমশ বাড়ছে ঝড়বৃষ্টি। তার জেরে বাতিল একাধিক নির্বাচনী কর্মসূচি। শাসক-বিরোধী উভয়পক্ষের রোড শো থেকে জনসভা বাতিল নানা কর্মসূচি।
শেষ দফার নির্বাচন এখনও বাকি। আগামী ১ জুন রাজ্যের ৯ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগে শাসক-বিরোধী সবদলই রাজনৈতিক প্রচারে ব্যস্ত। তবে কাঁটা ঘূর্ণিঝড়। বাতিল রবিবাসরীয় একাধিক প্রচার কর্মসূচি। এদিন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেটিয়াবুরুজে রোড শো ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তা বাতিল করা হয়েছে। মথুরাপুরে জনসভা ছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং সন্দেশখালি সভা করার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। দুই বিজেপি নেতার সভাই বাতিল করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কালীঘাটে সিপিএমের প্রচারে ‘পুলিশি বাধা’, ‘কমিশন ঘুমোচ্ছে’, তোপ মীনাক্ষীর]
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় 'রেমালে'র ল্যান্ডফলের সময় যত এগোচ্ছে রাজ্যজুড়ে খারাপ হচ্ছে আবহাওয়া। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা তিন জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। রবিবার প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় প্রতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে।
অন্যান্য জেলায় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে তৈরি প্রশাসনও। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষ তহবিল গঠন করেছে রাজ্য সরকার। দুর্যোগ সামলাতে সব জেলাকেই এই তহবিল থেকে অর্থ দেওয়া হয়েছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ বঙ্গের প্রতিটি জেলার প্রশাসনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে নবান্ন থেকে। সেচ, বিদ্যুৎ, কৃষি, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত সমন্বয় রেখে চলেছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সব জেলাতেই ত্রাণ সামগ্রী তৈরি রয়েছে।