স্টাফ রিপোর্টার: বিজেপির (BJP) চক্রান্তে পূর্ব মেদিনীপুর ও কেশপুরের বহু তৃণমূল কংগ্রেস নেতা এবং কর্মী মিথ্যা মামলায় ফেঁসে গিয়েছেন। অনেকে আবার গেরুয়া চক্রান্তের শিকার হয়ে সিবিআই বা এনআইএ-র হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলেও রয়েছেন। বিরোধীদের মিথ্যা মামলা ও আইনি নির্যাতনের হাত থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বাঁচাতে পূর্ব মেদিনীপুর ও কেশপুর ব্লকের জন্য এবার লিগ্যাল ডেস্ক চালু করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
আজ, বুধবার নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল অফিসে এই লিগ্যাল ডেস্কের সূচনা হবে। এখানে যেমন পুরনো মামলা নিয়ে বিভিন্ন আদালতে নির্যাতিতদের আইনি লড়াইয়ে সাহায্য করা হবে। তেমনই স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও পালটা মামলা করা হবে। গেরুয়া শিবিরের যিনি বা যাঁরা চক্রান্ত করে তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসাচ্ছে তাঁদের আর একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না বলে অভিষেকের স্পষ্ট বার্তা।
[আরও পড়ুন: বিরোধীরা বিভ্রান্ত করলে কোমরে দড়ি বেঁধে রাখার নিদান! এবার বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক]
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি নেতারা পরিকল্পিত চক্রান্ত করে নন্দীগ্রাম-হলদিয়ার মতো বহু ব্লকে নিরীহ মানুষকে সিবিআই বা এনআইএ-এর মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে। বিজেপির এই নয়া চক্রান্তের শিকার যেমন তৃণমূল নেতা-কর্মী আছেন তেমনই বহু নিরীহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন। অনেকে আবার শুভেন্দুর এই নয়া চক্রান্তে ফেঁসে গিয়ে জেলবন্দি রয়েছেন। কিন্তু সঠিক আইনি পরামর্শ এবং গাইডলাইন না থাকায় দিশেহারা মানুষ নানা আদালতে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে এমন আইনি অজস্র অভিযোগ পেয়ে সহায়তা দিতেই তৃণমূলের তরফে নয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির চক্রান্তের শিকার সাধারণ মানুষকে আইনি হেনস্তা থেকে বাঁচাতে তাই আজ থেকে লিগ্যাল ডেস্ক চালু হচ্ছে।
সেখানে যেমন জেলা পর্যায়ের আইনজীবীরা থাকবেন, তেমনই হাই কোর্ট পর্যায়ে সিবিআই বা এনআইএ মামলায় আইনি লড়াইয়ে অভিজ্ঞরাও লিগ্যাল ডেস্কে যুক্ত থাকবেন। দলের তরফে সাধারণ সম্পাদকের এমন অভিনব পদক্ষেপ গ্রহণে বিজেপির চক্রান্ত থেকে বাঁচতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।