ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিমতো ধূপগুড়ি (Dhupguri)মহকুমা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই সুখবর শুনিয়েছিলেন। আর পর দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সোশাল মিডিয়া পোস্টে এনিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। সেইসঙ্গে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও সামনে এসেছে। তাতে ধূপগুড়ি ভৌগলিক পরিবর্তনের বিস্তারিত জানা গিয়েছে। অভিষেকের বক্তব্য, কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল (TMC)। গত বছর ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে অভিষেকই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হবে। সেইমতো চারমাসের মধ্যেই তা হয়ে গেল। সোশাল মিডিয়ায় তা নিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক লিখেছেন, ”এতদূর থেকেও চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছি ওঁদের হাসিমুখ।”
গত সেপ্টেম্বরে ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন হয়। তখন প্রচারে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল জিতলে ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এর পর নভেম্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়েও অভিষেকের প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ তুলে বলেছিলেন, কথা রাখবে সরকার। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহকুমার তকমা পাবে ধূপগুড়ি। মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব পাশও হয়। কিন্তু কিছু আইনি জটিলতা থাকায় ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল ধূপগুড়িবাসীর মধ্যে। কিন্তু এবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে উচ্ছ্বাসে মাতলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ‘যৌনসুখ ঈশ্বরের উপহার’, ভ্যাটিকানে বললেন পোপ ফ্রান্সিস]
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ধূপগুড়ি মহকুমার মধ্যে থাকছে ধূপগুড়ি ও বানারহাট। জলপাইগুড়ি সদরের মধ্যে থাকছে কোতোয়ালি, ময়নাগুড়ি, রাজগঞ্জ, ভক্তিনগর, জলপাইগুড়ি সদর। এবং মাল মহকুমার অধীনে মালবাজার, মেটেলি, নাগরাকাটা।