shono
Advertisement

শুভেন্দুর সঙ্গে সিবিআই সেটিং! জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক

'আমাকে ডাকা হলে সারদায় শুভেন্দুকে নয় কেন?', প্রশ্ন অভিষেকের।
Posted: 09:17 PM May 20, 2023Updated: 10:08 PM May 20, 2023

ধ্রুবজ্যতি বন্দ্যোপাধ্যায়: সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে সেটিং আছে শুভেন্দু অধিকারীর। শনিবার প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) ডাকা হচ্ছে না। অথচ, বারবার আমাকে ডাকা হচ্ছে। অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, কার সঙ্গে সেটিং আছে।”

Advertisement

অভিষেকের বক্তব্য, ‘তৃণমূল (TMC) করলে এক রকম নিয়ম, আর বিজেপি করলে আরেক রকম আইন।’  তাঁর প্রশ্ন, “সারদার প্রাইম এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারী। কতবার ডেকেছে? গ্রেপ্তার হয়েছে? শুভেন্দু বিজেপির সম্পদ? দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দলিল পাওয়া গেল প্রসন্নর বাড়িতে। সে বিজেপির সম্পদ?” শুধু শুভেন্দু নয়, অন্য বিরোধী নেতাদের ক্ষেত্রেও সিবিআই দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। তিনি বলছেন, “আমায় ডাকল কুন্তল ঘোষের চিঠিতে নাম আছে বলে। তাহলে সারদা কর্তার চিঠিতে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) ডাকা হবে না কেন? সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছে তো।”

[আরও পড়ুন: ‘সাড়ে ৯ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের ফল শূন্য, ৯০ শতাংশ প্রশ্নই বোগাস’, বিস্ফোরক অভিষেক]

এদিন আরও একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তিনি সিবিআই জেরা প্রসঙ্গে বলেন, “আমায় যে নামগুলো জিজ্ঞাসা করেছে, এদের চেনেন? ৯০% মানুষের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের এজেন্ট। সে সময় এই এলাকায় দলের তরফ থেকে কে ছিল। ধরে নিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী। কিন্তু কে দায়িত্বে ছিল? এভাবে ডেকে ডেকে সময় নষ্ট। আর কেউ গাড়িতে মানুষ মেরে যাবে তাকে ডাকা হবে না?” অভিষেক যে দুই জেলার এজেন্টদের কথা এখানে বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতি যে সময় হয়েছিল, সেই সময় এই জেলাগুলিতে তৃণমূলের এজেন্ট ছিলেন শুভেন্দুই।

[আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সঙ্গে সিবিআই সেটিং! জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক]

এরপর একেবারে সরাসরি বিরোধী দলনেতার নাম নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেছেন, “শুভেন্দু ঘুষখোর। আমার নাম নিয়ে বলুক। শুভেন্দু অধিকারীর দুটো এজেন্ডা। এক, সিবিআই-ইডি থেকে নিজের ঘাড় বাঁচানো। সেটা করে ফেলেছে। আর দুই, আমায় টার্গেট করা। কারণ গদ্দারকে ধরে ফেলেছি। আমায় ও দমাতে পারবে না। ও দিল্লির নেতাদের পাজামার দড়ি ধরে ঝুলুক।” অভিষেক এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যতই তাঁকে টার্গেট করা হোক, ভয় দেখানো হোক, কোনওভাবেই তাঁকে দমানো যাবে না। দিল্লির বশ্যতা তিনি স্বীকার করবেন না। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement