স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকার ক্লাবগুলোর সাথে আরও বেশি করে নিজেদের যুক্ত করার জন্য দলীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ক্লাবগুলোর মাধ্যমে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করার টার্গেট নিতেও বলা হয়েছে।
কারণ, ক্লাবই একমাত্র মঞ্চ যেখানে সমস্ত মতের মানুষ এসে জমায়েত হন, সেখানেই অন্য রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে চলা ভোটারকেও পাওয়া যাবে। আর সেই বিরোধী ভোটারদের ক্লাবের আড্ডায় সুকৌশলে বুঝিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রকল্প ও পরিষেবার কথা জানিয়ে কাছে টানার সুযোগ পাওয়া যাবে।
[আরও পড়ুন: ফের খারিজ জামিনের আবেদন, এবার পুজোয় জেলেই থাকতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে]
বস্তুত এই ক্লাবগুলির অরাজনৈতিক মঞ্চকেই জনসংযোগ করার বৃহত্তম প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। বুধবার হুগলি জেলার তৃণমূল নেতৃত্বকে কলকাতায় নিজের অফিসে বৈঠকে ডেকেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ছাড়াও হুগলি জেলার সমস্ত বিধায়ক এবং ছাত্র, যুব ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা সভাপতিরা।
বৈঠকে অভিষেক দলীয় নেতাদের মাসে নিজেদের মধ্যে দু’টি করে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে সবাইকে পুজোর সময় এলাকায় থাকার কথাও বলেন অভিষেক। জানিয়ে দেন, সরকারি প্রকল্প যাতে সমস্ত মানুষের কাছে পৌঁছয় তা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।
[আরও পড়ুন: দেশজুড়ে NIA-র ধরপাকড়, গ্রেপ্তার মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন PFI-র ১০০ ক্যাডার]
সামনে পঞ্চায়েত ভোট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে জোর দিতে চাইছে তৃণমূল। সরকারি প্রকল্পের সুফল, তার প্রচার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাইছে তারা। আর সেই উদ্দেশ্যে পুজোর মঞ্চকে কাজে লাগাতে চাইছে তারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নির্দেশই দিলেন।