অর্ণব আইচ: পহেলগাঁও আবহে বাংলার সীমান্তে সক্রিয় হচ্ছে অস্ত্র কারবারিরা! সোমবার গভীর রাতে বসিরহাট থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ তাজা কার্তুজ। রাজ্য পুলিশের এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার দুই অস্ত্র ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে দুটি পিস্তল। এসটিএফ সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া কার্তুজের পরিমাণ ২৫২! যা দেখে চোখ কপালে উঠছে আধিকারিকরদেরও। এত পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন? ধৃতদের জেরা করে অস্ত্র কারবারের বিস্তারিত জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর দেশের সীমান্ত এলাকাগুলিতে নজরদারি কয়েকগুণ বেড়েছে। ফলে এখন নিরাপত্তার ফাঁক গলে যে কোনও বেআইনি কারবার মুশকিল। সেই জালেই সোমবার ধরা পড়ল ২ অস্ত্র ব্যবসায়ী।
গ্রেপ্তার দুই অস্ত্র কারবারি কাজল মুখোপাধ্যায় ও দীপ্তজিৎ সেন।
এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃত দু'জনের নাম দীপ্তজিৎ সেন ও কাজল মুখোপাধ্যায়। ২৯ বছরের দীপ্তজিৎ বসিরহাটেরই চোট জিরাকপুরের বাসিন্দা। কাজলের বয়স ৪০ বছর। এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে জেরার মুখে নিজেদের অপরাধ কবুল করেছে তারা। জানিয়েছে যে অনেকদিন ধরে বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে জড়িত। নিজেদের বাড়িতে বসেই এসব করে। মঙ্গলবার ধৃত দীপ্তজিৎ ও কাজলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইতে পারে এসটিএফ। এই দু'জনের অস্ত্র কারবারের সঙ্গে আর কারা জড়িত, ক্রেতাই বা কারা, সীমান্তের ওপারে বেআইনি অস্ত্রের আনাগোনা আছে কি না, তাদের জেরা করে এসব তথ্য হাতে পেতে চান তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, বসিরহাট থানার অন্তর্গত সিশোনা দাসপাড়ায় বেআইনি অস্ত্র কারবার সম্পর্কে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। সেই সূত্র ধরে সোমবার গভীর রাতে প্রথমে দীপ্তজিৎ সেনের বাড়িতে তল্লাশি চলে। সেখান থেকে দুটি সেমি অটোমেটিক রাইফেল এবং ২৫২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। সেখান থেকে নিকটবর্তী এলাকায় কাজল মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দেয় এসটিএফের একটি দল। সেখান থেকেও বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। সবমিলিয়ে সীমান্ত এলাকা বসিরহাটে বাড়ির মধ্যে এত অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আশঙ্কা বাড়ল। কাজল এবং দীপ্তজিতের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অস্ত্র আইনে বসিরহাট থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
