ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্রের ‘আবাস যোজনা’র বাড়ি মেলেনি। বাধ্য হয়ে মাটির বাড়িতেই দিন কাটাচ্ছিলেন। আর অসময়ের বর্ষণে সেই মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে শনিবার বাঁকুড়ায় (Bankura) তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর দায় নিতে হবে কেন্দ্রকে, এমনই দাবি রাজ্যের শাসকদলের। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা কেন পাচ্ছেন না, তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজার মাঝেই অভিযোগের সুর আরও চড়িয়ে এবার এই বিষয়টিও দিল্লির দরবারে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল (TMC)। বাঁকুড়ার সন্তানহারা ওই তিন বাবার পাশে রয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি নিজের বিমানেই এই তিনজনকে নিয়ে দিল্লি (Delhi)রওনা হচ্ছেন। দমদম বিমানবন্দরে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন অভিষেক।
শনিবার ভোরে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বাঁকাদহের বোড়ামারায়। ঝড়বৃষ্টির মাঝে খেলতে গিয়ে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বছর পাঁচেকের রোহন সর্দার, চার বছরের নিশা সর্দার এবং বছর তিনেকের অঙ্কুশ সর্দারের। প্রত্যেকে একই পরিবারের সন্তান। রাতভর বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়ালে ধস নেমে এই দুর্ঘটনা বলে জানান পরিবারের লোকজন।
[আরও পড়ুন: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে হিসাব বহির্ভূত বিপুল টাকার লেনদেন! গ্রেপ্তার কনস্টেবলের স্ত্রী]
এই ঘটনাকে এবার দিল্লির দরবারে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা তৃণমূলের। ১০০ দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার সঙ্গে এবার যুক্ত হল ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্পের বঞ্চনাও। এদিন দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মৃত পরিবারের চার সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে অভিষেক বললেন, ”কেন্দ্রের আবাস যোজনায় ঘর না পেয়ে ওঁরা সন্তানদের হারিয়েছেন। সেই শোক সামলে আমার সঙ্গে ওঁরা যোগাযোগ করেছেন। এক কাপড়ে বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় এসে দিল্লি যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, গ্রামের গরিব মানুষের প্রতি এই বঞ্চনায় তাঁরাও শামিল হবেন। আমি নিজের তাঁদের বিমানে নিয়ে যাচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের পালটা কর্মসূচি, বাংলার BJP সাংসদদের দিল্লিতে জরুরি তলব শীর্ষ নেতৃত্বের]
সন্তানহারা পিতাদের এভাবে তড়িঘড়ি দিল্লি নিয়ে যাওয়া ‘মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি’ বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতারা। এর জবাবও দিল্লি যাওয়ার আগে দিয়ে গেলেন অভিষেক। বললেন, ”আমরা রাজনীতি করি না। রাজনীতি করলে বিষ্ণুপুর লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা হেরে যাওয়া সত্ত্বেও তাঁরা সকলে সমস্ত সরকারি পরিষেবা পান। পরিষেবার ক্ষেত্রে আসলে কোনও রাজনীতি নেই। সরকার সবাইকে পরিষেবা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”