ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জনপ্রতিনিধি, যুব সংগঠনের দায়িত্ব থেকে একলাফে অনেকটা বড় দায়িত্ব পেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এখন তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অর্থাৎ দলের হয়ে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন অভিষেক। আর সেই গুরুদায়িত্ব পেয়েই ‘গুরুপ্রণাম’ শুরু করলেন তিনি। রবিবার দুপুরে অভিষেক গেলেন নাকতলায়, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে। মিষ্টি নিয়ে দলের এই বর্ষীয়ান নেতার কাছে আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলেন নতুন সাধারণ সম্পাদক। সূত্রের খবর, সেখানে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান অভিষেক। ওই পদের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন। দলীয় সূত্রে খবর, এরপর অভিষেক দলের আরও দুই বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত বক্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও যাবেন, তাঁদের আশীর্বাদ ও পরামর্শ গ্রহণের জন্য।
তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় তৃণমূল (TMC) আসার পর প্রশাসনিক মহলে বেশ কিছু রদবদল ঘটিয়েছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নতুন করে সাজিয়েছিলেন মন্ত্রিসভা। শনিবার সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করেছেন তিনি। যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় দায়িত্বে আনা হয়েছে। এই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এখন তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, অর্থাৎ জাতীয় স্তরে এখন অভিষেকের কাঁধে সংগঠনের গুরুভার। এই দায়িত্ব একদা সামলেছেন মুকুল রায়। শনিবার এই দায়িত্ব পাওয়ার পর রবিবার থেকেই অভিষেক এই গুরুদায়িত্ব ভালভাবে পালন করার প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তার প্রথম ধাপ ‘গুরু’দের আশীর্বাদ গ্রহণ। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দিয়ে তা শুরু করেছেন তৃণমূলের নতুন সাধারণ সম্পাদক।
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের রাজ্যকে তোপ ধনকড়ের, ডেকে পাঠালেন মুখ্য সচিবকে]
এদিন অভিষেককে নিজের বাড়িতে দেখে খুশি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। পুত্রসম অভিষেকের এই সাফল্য নিয়ে তাঁর মত, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর ও-ই আমাদের মুখ। যেভাবে দলকে বিধানসভা নির্বাচনে এত আক্রমণের সামনে থেকে লড়াই করে জিতিয়েছে তাতে ওর তুলনা নেই। ও নিজেকে প্রমাণ করেছে। দলের সমস্ত শাখাকে উজ্জীবিত করেছে। ডিজিটাল মাধ্যমকে উন্নত করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান তাঁর দলকে জাতীয় মর্যাদা দিতে। সেই দায়িত্ব ওর উপর দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বাইরে দলকে নিয়ে যেতে এবং প্রতিষ্ঠা দিতে ও কাজ করবে। আমরা ওকে ছোট থেকে দেখছি। আলাদা করে আশীর্বাদ করার কিছু নেই। ওর সঙ্গে আমাদের আশীর্বাদ সবসময় আছে।”
[আরও পড়ুন: দলে ভাঙন রুখতে স্ট্র্যাটেজি বানাচ্ছে বিজেপি! মঙ্গলবার গুরত্বপূর্ণ বৈঠক]
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিকেলে অভিষেক যাবেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে। সন্ধেবেলা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি যাবেন। একইভাবে দলের বর্ষীয়ান, অভিজ্ঞ নেতাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে অভিষেক দলের আগামী দিনের জাতীয় স্তরের কর্মসূচির কথা জানাতে পারেন, এই সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।