সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাল ২০১৮। বয়স পাক ধরিয়েছে মাথার চুলে। সোজা দেহটা একটু হলেও বেঁকেছে। হাঁটতে এখন ব্যোমকেশের লাঠির প্রয়োজন হয়। কিন্তু মগজাস্ত্র এখনও তীক্ষ্ণ। চোখ সমান সচেতন। তাই এই বয়সেও অজানাকে জানার পিছনে ছুটছেন ব্যোমকেশ বক্সি। বিদায় বেলার এই কাহিনিই দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে চলেছেন পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য। প্রযোজনায় এসভিএফ। ৩৭ বছরের এক যুবককে আশি পেরনো বৃদ্ধের রূপ দেওয়া হয়েছে। ট্রেলারে আবির যেন প্রকৃত অর্থেই অশীতিপর ব্যোমকেশ হয়ে উঠেছেন।
[‘সঞ্জু’ পথ খুলে দিচ্ছে মধুবালার, তৈরি হবে স্বপ্নসুন্দরীর বায়োপিক]
কিন্তু এই অসম্ভব সম্ভব হল কেমন করে? সেই রহস্যের কিনারা করা হয়েছে প্রযোজনা সংস্থা এসভিএফ-এর তরফ থেকেই। ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানেই মিলেছে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর। প্রায় আড়াই মিনিটের ভিডিওতে আবির চট্টোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন বিদায়বেলার ব্যোমকেশ হয়ে ওঠার কাহিনি। সবই প্রস্থেটিক মেকআপের জাদু। যা সম্ভব হয়েছে মুম্বইয়ের প্রস্থেটিক বিশেষজ্ঞ ধনঞ্জয় প্রজাপতি ও তাঁর টিমের কেরামতিতে। এর জন্য অবশ্য সবচেয়ে বেশি কষ্ট করতে হয়েছে আবিরকে। মেকআপের জন্য অভিনেতাকে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকতে হত। কিন্তু ব্যোমকেশের এ রূপকে দর্শকদের সামনে তুলে ধরতে এ কষ্ট অভিনেতা সহ্য করে নিয়েছেন। আর মেকআপ শেষে যখন নিজেকে দেখতেন, মনে হত যেন পরিশ্রম সার্থক হয়েছে।
[হাড়হিম করা ভৌতিক সিরিজ আনছে নেটফ্লিক্স, মুখ্য চরিত্রে রাধিকা]
জুলাই মাসের ২০ তারিখ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পবে ‘বিদায় ব্যোমকেশ’। উপন্যাসের পাতা থেকে ব্যোমকেশ পর্দায় এর আগেও উঠে এসেছে। পরিচালক অঞ্জন দত্ত যিশু সেনগুপ্তকে ব্যোমকেশের মুখোশ দিয়েছেন। পরিচালক অরিন্দম শীল এ চরিত্রের জন্য বেছে নিয়েছেন আবির চট্টোপাধ্যায়কে। ব্যোমকেশ হিসেবে দুই অভিনেতাই সমান জনপ্রিয়। তবে পরিচালক দেবালয় বেছে নিয়েছেন আবিরকেই। পালটেছে তাঁর সঙ্গী। অর্থাৎ অজিত হিসেবে ঋত্বিক চক্রবর্তী নয় এ ছবিতে রয়েছেন রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ছবিতে রয়েছেন সোহিনী সরকার, জয় সেনগুপ্ত, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা হিসেবে দেখা যাবে অরিন্দম শীলকেও।
[‘ব্যোমকেশ বক্সি’র পর ফের শহরে শুটিংয়ে সুশান্ত]
The post কেমন করে অশীতিপর ব্যোমকেশ হলেন আবির, ফাঁস রহস্য appeared first on Sangbad Pratidin.