সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: খাতায় কলম চৈত্র না ফুরোলেও দোল ডিঙোতেই 'মৃত্যু' হয়েছে বসন্তের। এপ্রিলের প্রথম দিনে চাঁদিফাটা গরমে বোকা বানাচ্ছে চরম আবহাওয়া! এখনই রাজ্যজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী পারদ। এর মধ্যেই আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বার্তা, আসন্ন গ্রীষ্মের 'ট্রেলার' দেখছে দেশ। 'পিকচার' এখনও বাকি! এপ্রিল ও জুন মাসে হাঁসফাঁস অবস্থা হবে জনতার। দিনের বেলা ঘরের বাইরে পা দেওয়া কঠিন হবে। একটানা তাপপ্রবাহ চলবে বহু রাজ্যে। সেই মারণ গরমে কিনা গণতন্ত্রের 'উৎসবে' শামিল হতে হবে নাগরিকদের!
সোমবার মৌসম ভবনের তরফে ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এপ্রিল-জুন মাসে দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে মাত্রাতিরিক্ত গরম পড়বে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে মধ্য ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতে। শুধুমাত্র হিমালয় ঘেঁষা কিছু এলাকা ও উত্তর-পূর্বে ওড়িশার বেশ কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তার চেয়ে কম থাকার সম্ভাবনা। আগামী দুই মাসে একটানা ১০ থেকে ২০ দিন অবধি তাপপ্রবাহ চলবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের রাজ্যগুলিতে।
[আরও পড়ুন: ‘সত্যিটা জানা উচিত জনগণের’, শ্রীলঙ্কাকে দ্বীপ ‘উপহার’ নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ জয়শংকরের]
এপ্রিলে তাপপ্রবাহের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে গুজরাট, মধ্য মহারাষ্ট্র, উত্তর কর্নাটক, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তর ছত্তিশগড় ও অন্ধ্রপ্রদেশে। মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, সাধারণত এই রাজ্যগুলিতে একটানা এক থেকে তিনদিন চলে তাপপ্রবাহ। কিন্তু এবার দুই থেকে আট দিন অবধি চলতে পারে। উল্লেখ্য, আশঙ্কাজনক রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ না থাকলেও ইতিমধ্যে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। সোমবার পানাগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ার পারদ পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রিতে। আলিপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৭.১ ডিগ্রি, সল্টলেকের তাপমাত্রাও ৩৯ ডিগ্রির কাছে পৌঁছায়। বুধবার থেকেই পশ্চিমের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
[আরও পড়ুন: ২১ হাজার কোটির অস্ত্র রপ্তানি! বিশ্বের সমর বাজারে অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে ‘আত্মনির্ভর’ ভারত]
এর মধ্যেই রয়েছে লোকসভা ভোট। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সাত দফায় নির্বাচন। ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফা। ৪ জুন ফল প্রকাশিত হবে। প্রশ্ন উঠছে, তাপপ্রবাহের মধ্যে নির্বাচন কতখানি যুক্তিযুক্ত। ভোটার থেকে ভোটকর্মী, সকলেরই প্রকৃতির রুদ্ররোষে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।