সুব্রত বিশ্বাস: ফের লিলুয়া ওয়ার্কশপে দুর্ঘটনা। ওয়ার্কশপের বাহার লাইনে (জে ৭)ক্রেনের হুক ভেঙে মাথায় এসি কামরার প্যাকেজিং ইউনিট পড়ায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক রেলকর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত কর্মী আলোক রায়কে বিআর সিং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ফলতার তৃণমূল বিধায়কের]
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁর মাথায় দশটি সেলাই পড়েছে। আপাতত তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কা নেই। এই ঘটনায় ওয়ার্কশপ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। সিডব্লুএম পি শর্মাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। লকডাউনের আগেও ওয়ার্কশপে এমনভাবেই ক্রেন ছিঁড়ে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। আরও আগে এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উপযুক্ত রাখেননি কর্তৃপক্ষ বলে অভিযোগ।
কর্মীদের অভিযোগ, বাহার লাইনে কার্পেন্টার, ফিটার, রং মিস্ত্রি, মজদুর সবাই এক সঙ্গে কাজ করলেও ইউনিটটি ব্যাটারির বাক্স ও অন্যান্য সরঞ্জামে ভরতি। ফলে সেখানে তিলধারণের জায়গা নেই। এহেন পরিবেশে নিরাপত্তা শিকেয় তুলে কর্মীরা কাজ করছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎই মাথার উপরের ক্রেনের হুক ভেঙে ৭০৫ কিলোগ্রাম ওজনের একটি প্যাকেজিং ইউনিট প্রথমে ট্রেনের কামরার ছাদে পড়ে। তারপর মাটিতে পড়ার সময়ে আলোকবাবুর মাথায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হেলথ ইউনিটে পরে বিআর সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে কর্মী বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁদের অভিযোগ, উপযুক্ত নিরাপত্তা নেই, নেই সুরক্ষার সরঞ্জাম। জিনিসপত্র ঠাসা থাকায় সময় থাকতে নিরাপদ জায়গায় সরতে পারেননি আলোকবাবু।
বুধবার নিরাপত্তার দাবিতে ওয়ার্কশপে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। পূর্বা রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ অভিযোগ করেন, লিলুয়া ওয়ার্কশপে কোনও রকমের নিরাপত্তা নেই শ্রমিকদের। করোনা পরিস্থিতিতেও একশো শতাংশ কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। স্যানিটাইজ করার মতো কোনও ব্যবস্থা নেই। দেওয়া হচ্ছে না সাবানও। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মানতে পারছেন না কর্মীরা। তার মধ্যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত কর্মীরা। এদিকে, সমস্ত অভিযোগ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ডুয়ার্সে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যু পূর্ত দপ্তরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের]
The post লিলুয়া রেল ওয়ার্কশপে দুর্ঘটনা, নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মীদের appeared first on Sangbad Pratidin.