সৈকত মাইতি, তমলুক: রেললাইনে পড়ে গিয়েছিল বাবার হেডফোন। সেটা তুলতে যাওয়াই কাল। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু দুই ছাত্রের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে কোলাঘাটে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রদের নাম রূপঙ্কর কোলে ও দিব্যেন্দু সাঁতরা। পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাসিন্দা ওই দুই কিশোর। ভোগপুর কেনারাম হাই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র তারা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রূপঙ্করের বাবা পেশায় প্রতিমা শিল্পী। বুধবার রাতে প্রতিমার সাজ কিনতে মেচেদা গিয়েছিলেন। লোকাল ট্রেনে বাড়ি ফেরেন তিনি। সেই সময় কানে ছিল হেডফোন। ভোগপুর স্টেশনে নামার পর হেডফোন কান থেকে খুলে লাইনে পড়ে যায়।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে মাস্টারস্ট্রোক! ফের ডিএ বাড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের]
সেই কথা জানার পর হেডফোন খুঁজে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কিশোর। রাতেই সহপাঠি দিব্যেন্দুকে বিষয়টা জানায় রূপঙ্কর। তাকে নিয়ে সোজা চলে যায় রেললাইনে, যেখানে পড়ে গিয়েছিল হেডফোন। অন্ধকারে হেডফোন খোঁজাই কাল হয়ে দাঁড়াল। দ্রুত গতিতে আসা গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের শব্দ কানে পৌঁছয়নি। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু দুই ছাত্রের। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।