অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: স্কুল যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাতসকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বেহালা চৌরাস্তা। দেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভে স্থানীয়রা। জ্বালিয়ে দেওয়া হল পুলিশের গাড়ি, বাইক। ঘটনার জেরে প্রায় ২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ ডায়মন্ড হারবার রোড ও জেমস লং সরণী।
জানা গিয়েছে, অন্যান্যদিনের মতোই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা সরোজ। বেহালা চৌরাস্তা মেট্রো স্টেশনের কাছে ঘটে দুর্ঘটনা। রাস্তা পার হওয়ার সময় উলটো দিক থেকে আসা দ্রুতগতির লরি পিষে দেয় বাবা ও ছেলেকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌরনীলের। সরোজ সরকারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয়েছে এসএসকেএম হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খুদের দেহ আটকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ি ও বাইকে। সব মিলিয়ে ব্যস্ত চৌরাস্তা রণক্ষেত্রে চেহারা নেয়।
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক স্তরে সাজানো হচ্ছে নয়া পাঠক্রম, ‘ভিশন ২০৩০’-এর লক্ষ্যে এগোচ্ছে সেন্ট জেভিয়ার্স]
এরপরই ঘটনাস্থলে যায় আরও পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ। পালটা লাঠি হাতে ময়দানে নামে এলাকার মহিলা বাহিনী। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হয় না সঠিকভাবে। সিভিক ভলান্টিয়ররা সারাদিন কর্তব্যরত অবস্থাতেও ব্যস্ত থাকেন ফোনে। সেই কারণেই প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে এই এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, ঘাতক লরির চালককে তুলে দিতে হবে তাঁদের হাতে। পুলিশ বুঝিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। এরপর উত্তেজিত জনতাকে পিছু হঠাতে টিয়ার গ্যাসের সেল ছোঁড়ে পুলিশ, লাঠিচার্জও করা হয়। জখম হন এক মহিলা। এদিকে আহত হয়েছে এক ব়্যাফ আধিকারিকরও। সব মিলিয়ে প্রবল উত্তেজনা এলাকায়।