দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: ভোররাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। হুগলির (Hooghly) হরিপালে নয়ানজুলিতে উলটে গেল যাত্রী ভরতি বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। জখম কমপক্ষে ৬০ জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রায়দিঘি থেকে একটি বাসে করে পুরুলিয়ার অযোধ্যায় যান প্রায় ৭২ জন। তাঁদের মধ্যে বাচ্চারাও ছিল। সেখানে পিকনিক, ঘোরাফেরা সেরে বুধবার ভোরে ফিরছিলেন সকলে। ফেরার পথেই দুর্ঘটনা। ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হরিপাল এলাকায় আচমকা উলটে যায় বাসটি। পড়ে যায় একটি নয়ানজুলিতে। কাদার মধ্যে পড়ে যান যাত্রীরা। কমবেশি আহত হন সকলেই। এদিকে শব্দ পেয়ে স্থানীয়া ছুটে আসেন। হাত লাগান উদ্ধার কাজে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই হরিপাল ও চণ্ডিতলা থানার পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। ভোরেই দুর্ঘটনাস্থলে যান রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। একে একে আহতদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: ‘লালনের মতো অবস্থা হতে পারে আমার ছেলেরও’, আতঙ্কিত বগটুই কাণ্ডে আরেক ধৃতের পরিবার]
সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাঁদের পাঠানো হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালে। ৪০ জনের চিকিৎসা চলছে হরিপালেই। মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। তবে তাঁর নাম, পরিচয়, সঙ্গে পরিবারের কেউ ছিলেন কি না তা জানা যায়নি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রবল আতঙ্কিত যাত্রীরা। এক যাত্রীর কথায়, “বাসে ঘুমোচ্ছিলাম। তাই ঠিক কী হয়েছে জানি না। আচমকা বিকট শব্দ পেলাম। আমরা সবাই কাদায় পড়ে গিয়েছিলাম। কোনওরকমে প্রাণে বাঁচলাম।”
কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, কীভাবে এই দুর্ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বাসের কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, কুয়াশার কারণে সমস্যা হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন কি না, সেটাও দেখা হবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।