রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: নদিয়ার (Nadia) পলাশিপাড়ায় একই পরিবারের তিনসদস্য খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রতিবেশী। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল তাকে। জেরার অসংগতি মেলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে কৃষ্ণ মণ্ডল নামে ওই যুবককে। কী কারণে খুন? ঘটনার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার পলাশিপাড়ার রানিনগরের তুতবাগানের বাসিন্দা রাজোয়ার পরিবার। ডোমন রাজোয়ার ও সুমিত্রা রাজোয়ারের মেয়ে মালা। তিনি বিবাহিত। তিন সন্তান রয়েছে। তবে কর্মসূত্রে স্বামী হরিয়ানায় থাকায় বাপের বাড়িতেই থাকতেন মহিলা। অন্যান্যদিনের মতোই সোমবার রাতেও বাপের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। সেখানেই ঘটে নারকীয় হত্যালীলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুষ্কৃতীরা হানা দেয় রাজোয়ার বাড়িতে। গলার নলি কেটে খুন করা হয় দম্পতি ও তাঁদের মেয়েক।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিঘায় শুরু জগন্নাথদেবের মন্দির তৈরির কাজ, স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর]
পরে বাড়ির পাশের রাস্তায় মালার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর ঘর থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির নলিকাটা দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়রাই খবর দেয় থানায়। পলাশিপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করেছে দেহ তিনটি। পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
মালাদেবীর স্বামী বিষয়টি জানার প্রতি ধৃত প্রতিবেশীর দিকে আঙুল তুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, জমি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি হয়েছে। যার ফলে প্রতিবেশী মৃতদের খুনের হুমকিও দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই মঙ্গলবার দফায় দফায় রাজোয়ার পরিবারের প্রতিবেশী কৃষ্ণ মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুতই স্পষ্ট হবে গোটা বিষয়টি।