নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বউয়ের টানে বাড়ি ফেরাই কাল! পুলিশের জালে ভাদু শেখ খুনের মূল অভিযুক্ত। বুধবার রাতে বীরভূমের (Birbhum) বিষ্ণুপুর গ্রাম আগ্নেয়াস্ত্র-সহ নিউটন শেখকে গ্রেপ্তার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে সূত্রের খবর। তাঁর কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
গত বছর ২১ মার্চ খুন হন বরশাল গ্রামের তৃণমূলের প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু শেখ। সেই খুনের ঘটনায় এফআইআরের দু’নম্বরে নাম ছিল নিউটন শেখের। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। গত ১ বছর ধরে পলাতক ছিলেন। সূত্রের খবর, গত দু-তিনদিন আগে মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে নতুন বিয়ে করার বউয়ের কাছে এসেছিলেন ভাদু শেখ। সেই খবর পেয়ে বুধবার রাতে বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একটি বন্দুক ও একটি কার্তুজ-সহ তাঁকে গ্রেপ্তার করে মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। তাঁরা জানিয়েছে, নিউটন শেখের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কমিশন]
গত ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui) মোড়ে পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান ভাদু শেখের উপর বোমা হামলা হয়। তিনি খুন হন। সোনা শেখই এই হামলার মূল চক্রী বলে অভিযোগ ওঠে। ওইদিন রাতে গ্রামের ভিতর সোনা শেখের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ভাদুর অনুগামীরাই ভাঙচুর চালিয়েছিল বলে অভিযোগ।পরেরদিন ভোরে তার বাড়ি থেকে সাত জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরবর্তী সময়ে অবশ্য বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০। এর আগে এই ভাদু শেখের খুনের ঘটনায় পলাশ বগটুই গ্রাম থেকে ফয়জল শেখ ওরফে পলাশ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। তৃণমূল উপপ্রধানের খুনের ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল পলাশ।