অর্ণব আইচ: নিয়োগের পরীক্ষায় নম্বর বাড়াতে পৃথক পৃথক দরে টাকা নিয়েছেন কুন্তল, তাপস ও নীলাদ্রিরা। আলিপুর আদালতে দাবি সিবিআইয়ের আইনজীবীর। এদিকে, বৃহস্পতিবারও ধোপে টিকল না কোনও যুক্তি। ফের জেল হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল এবং নীলাদ্রি ঘোষেরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ আলিপুর বিশেষ আদালতের। আগামী ২০ এপ্রিল ফের আদালতে পেশ করা হবে তিনজনকে।
জেল হেফাজত শেষে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত ‘ত্রয়ী’কে আদালতে তোলা হয়। এদিন বিচারক কেস ডায়েরি দেখতে চান। কেস ডায়েরির একটি পাতা উল্লেখ করে তদন্তকারী আধিকারিককে তা পড়তে বলেন। বিচারক বলেন, “সময় সময় অভিযোগগুলো বদলে যাচ্ছে। আপনার মামলার মূল অভিযোগগুলো কী?” বিচারককে উত্তর দিতে গিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। বিচারককে তিনি বলেন, “প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টাকা তোলার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক দর। নম্বর বাড়াতে আলাদা আলাদা দরে নেওয়া হয়েছে টাকা। কেউ ৬৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন, তার ৭২ শতাংশ করার ক্ষেত্রে দর আলাদা, আবার কেউ ৭০ শতাংশ পেয়েছেন তার ৭২ শতাংশ করার ক্ষেত্রে দর আলাদা। এই ভাবে শতাংশের বিচারে টাকা নেওয়া হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: তিন বছর পর ইডেনে ফিরছে নাইটরা, রাসেলের শততমের মঞ্চে বিরাট-মায়ার প্রতীক্ষা]
কুন্তল, নীলাদ্রি ও তাপসের জামিনের আবেদন করেন তাঁদের আইনজীবীরা। সওয়াল জবাব শেষে ফের ওই তিনজনের জামিনের আরজি খারিজ করে দেন বিচারক। জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাই নববর্ষও জেলেই কাটবে তিনজনের।