সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ‘ফেলুদা’ উপন্যাস ‘দার্জিলিং জমজমাট’ একটি পুজো সংখ্যায় ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয়। তা নিয়েই ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি : দার্জিলিং জমজমাট’ তৈরি করেছেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। ১৭ জুন থেকে হইচই প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে টোটা রায়চৌধুরী, অনির্বাণ চক্রবর্তী এবং কল্পন মিত্র অভিনীত সিরিজটি। তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। কেউ প্রশংসা করেছেন, কেউ আবার করেছেন সমালোচনা। ‘ঘৃণা মিশ্রিত’ সমালোচনার বিরুদ্ধে ফেসবুকে সোচ্চার হলেন অভিনেতা টোটা। দীর্ঘ বিবৃতিতে বেশ কড়া জবাব দিলেন তিনি।
বাংলা OTT প্ল্যাটফর্মের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি : দার্জিলিং জমজমাট‘ দেখেছেন। যাঁদের ভাল লেগেছে তাঁদের পাশাপাশি যাঁদের সিরিজটি ভাল লাগেনি তাঁদেরও ধন্যবাদ জানান টোটা। এরপরই তিনি লেখেন, “সাধারণত, সমালোচনাকে আমি স্বাগত জানাই। অবজেক্টিভ ও কনস্ট্রাক্টিভ ক্রিটিসিজম থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। এবারও যেমন শিখেছি। তবে এবারে একটা নতুন অভিজ্ঞতা হল। বেশ কিছু সমালোচনা গঠনমূলক তো নয়ই, অসম্ভব ঘৃণা মিশ্রিত, যার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো পরিচালককে বা অভিনেতাদের হেয় করা। বেশ কিছু মানুষ জোরের সঙ্গে দাবি করছেন যে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের গত কয়েকটা কাজ নাকি পাতে দেওয়ার অযোগ্য। অথচ তাঁরা সেই অযোগ্য কাজগুলোই যে কেন পরপর দেখছেন সেই রহস্যের সমাধান করতে হয়তো ফেলুদাকেই ডাকতে হবে!”
[আরও পড়ুন: রোহনের নামে ভুয়ো খবর ছড়ানোয় ক্ষিপ্ত ভাস্বর, ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা]
টোটা জানান, নিজের পঁচিশ বছরের কেরিয়ারে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিশ্রমী, কাজের প্রতি সমর্পিত ও কাজপাগল পরিচালক খুবই কম দেখেছেন। সৃজিতের ছবিতে চান্স পাওয়ার জন্য এমন কথা লিখছেন না সেকথা জানিয়ে আবার অভিনেতা লেখেন, “ইদানীং মুম্বাইয়ে কিঞ্চিৎ কাজ করছি বলে এটা জোরের সাথে বলতে পারি যে বাংলা থেকে সৃজিতই একমাত্র পরিচালক যাকে ওঁরা চেনেন এবং যার কাজের সম্বন্ধে ওনাদের সম্যক ধারণা আছে। তা সে করণ জোহর হোক, রণবীর সিং বা আলিয়া ভাট হোক বা শাবানা আজমি। ‘রকি রানি কি প্রেম কাহানি’তে এই অধম একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করছে এবং সেটে যেদিন সৃজিত এসেছিল সেদিন সেটা প্রত্যক্ষ করেছি বলেই লিখছি। গেঁয়ো যোগি যে ভিখ পায় না সেটা আমার থেকে ভাল আর কে জানবে।”
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বা সব্যসাচী চক্রবর্তীর সঙ্গে যেন তাঁর তুলনা না করা হয়। এই অনুরোধ করেছিলেন টোটা। তারপরও কিছু মানুষ সেই তুলনা টেনেছেন। তাঁদেরও একহাত নেন টোটা। “রবার তুলনা টানা এবং ট্রোল করে পৈশাচিক আনন্দে লিপ্ত হওয়া। তা বেশ। এটাও তো একপ্রকার বিনোদন”, ব্যঙ্গ করে লেখেন অভিনেতা। কিছু মানুষের নিন্দা সত্ত্বেও মোট ফিডব্যাক অনুযায়ী শতকরা আশি শতাংশ মানুষের সিরিজটি পছন্দ হওয়ায় খুশি টোটা। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।